ডা. বে-নজীর আহমেদঃ
দেশে করোনা মোকাবেলায় মূল ভূমিকা পালন করিতেছেন সরকারী বেসরকারী খাতের হাজার হাজার চিকিৎসক, নার্স, মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট, মেডিক্যাল অ্যাসিসট্যান্ট, ব্রাদার, আয়া, মাঠ কর্মী, স্বাস্হ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্হ্য পরিদর্শক, স্বাস্হ্য সহকারী, সিএইচসিপি, পল্লী চিকিৎসক সহ অন্যান্য স্বাস্হ্য সেবাদানকারীগণ।

করোনা বিশ্বমহামারির এই ক্রান্তিকালে আপনাদের সকলের জন্য আমার টুপি খোলা অভিনন্দন; এই মহামারিতে যদি বেঁচে যাই তাহলে তা আপনাদের জন্যই; যদি মরেও যাই তবুও আপনাদের ত্যাগের প্রতি শতভাগ সন্তুষ্টি নিয়ে কৃতজ্ঞতা জানাইয়া বিদায় লইবো। আমি অবসর নেয়ায় সরাসরি সেবাদানে জড়িত হইতে পারিতেছি না; তবে যদি আউটডোর, ইনডোর, ইমার্জেন্সী বা রোগপ্রাদুর্ভাব তদন্তে দায়িত্ব পালনে ডাক আসে, তাহা হইলে সেখানে প্রতক্ষ্য ভূমিকা পালনে এক মুহূর্ত দ্বিধা করিব না। করোনা যুদ্ধে জয়ী হবার জন্য অসম যুদ্ধে যুক্ত দেশের এই হাজার হাজার চিকিৎসা কর্মীদের এখন প্রয়োজন মানষিক সমর্থন এবং তাদের কাজের জন্য সহায়ক পরিবেশ।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় মন্ত্রী স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রণালয় এবং মহাপরিচালকের সদয় বিবেচনায় কতিপয় সুপারিশ রাখিতেছি;

১। হাইকোর্টের নির্দেশনার আলোকে তাহাদের জাতীয় বীর হিসাবে রাস্ট্রীয় স্বীকৃতি দান;
২। স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে অন্য সকল মন্ত্রনালয় বিভাগ সেনাবাহিনী ও পুলিশের সমন্বয়ে এই দুর্যোগ মোকাবিলা;
৩। স্বাস্হ্য সেবাদানকারীদের জন্য সুরক্ষা ও সহায়তা প্যাকেজ ঘোষনা;
ক) পিপিইর অফুরন্ত যোগান
খ) সকল সময় সর্ব্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিতকরন
গ) আগামী তিন মাস বেতনের তিনগুন ঝুঁকি ভাতা
ঘ) পরিববহনের জন্য বিভিন্ন যানবহন রিকুজিশন করে সকল পর্যায়ের সকল স্বাস্হ্য কর্মীদের যাতায়াত নিশ্চিত করা
ঙ। সরকারী সকল অতিথিশালা, প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও ইনস্টিটিউট অগ্রাধিকার ভিত্তি চিকিৎসা সেবাদানকারীদের জন্য বরাদ্দ দেয়া
চ) সরকারী অতিথিশালা, প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ইত্যাদির রন্ধনশালায় রান্না করে চিকিৎসা সেবাদানকারীদের উন্নতমানের পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার নিশ্চিত করা
ছ) চিকিৎসা সেবাদানকারীদের মনোবিজ্ঞানী দিয়ে
নিয়মিত সেশন পরিচালনা
জ) কর্ম ঘন্টা সংক্ষিপ্তকরন; অহেতুক দায়িত্ব চাপানো পরিহার
ঝ) স্বাস্হ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রণালয়, স্বাস্হ্য সেবা বিভাগ ও স্বাস্হ্য অধিদপ্তর, আইইডিসিআর কর্তৃক হটকারী আদেশ নির্দেশ আলোচনা সমালোচনা পরিহার এবং এরূপ পূর্ব কর্মের জন্য নি:শর্ত ক্ষমা প্রার্থনা।
এ ছাড়াও এই জরুরী পরিস্থিতিতে নানা ধরনের ব্যয় নির্বাহ পর্যাপ্ত অর্থ বর্রাদ্দ এবং সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয় ও বিভাগের জনবল, অর্থ বল, দ্রব্যাদি স্বাস্হ্য বিভাগে ন্যস্ত করিয়া আমাদের জাতীয় মহাদুর্যোগে করোনা মোকাবিলায় আমরা যেন শেষ হাসিতে পারি।

-শিশির

FacebookTwitter

About Bangla Daily

একটি পরিপূর্ণ বাংলা অনলাইন পত্রিকা। মাতৃভাষার দেশ বাংলাদেশ থেকে সরাসরি সস্প্রচারিত হচ্ছে।

View all posts by Bangla Daily