মিলি সুলতানা, কুইন্স, নিউইয়র্ক থেকেঃ
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় কার্যকর হতে পারে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন। এমনই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও মরিয়া হয়ে ভারতের কাছ থেকে এই ওষুধ চেয়েছেন। কিন্তু যে কেউ এই ড্রাগ ব্যবহার করলে তার ফল অত্যন্ত খারাপ হতে পারে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়।
হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন এই ওষুধটির একাধিক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে।
কারা কোনও অবস্থাতেই এই ওষুধ ব্যবহার করতে পারবেন না, তার একটি নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। সেখানে বলা হয়েছে যে ১৫ বছরের কম বয়সী কেউ এই ওষুধটি ব্যবহার করতে পারবে না।
এছাড়া রেটিনোপ্যাথি এবং হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনে হাইপারসেনসিটিভিটি রয়েছে এমন কেউ এই ওষুধ ব্যবহার করতে পারবেন না। হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের ব্যবহারে অনুমোদন দিয়েছে আমেরিকার ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাসোসিয়েশন (FDA)।
এই ওষুধটি সাধারণত ব্যবহার হয়ে থাকে ম্যালেরিয়া সারাতে।
উল্লেখ করা যেতে পারে গত সপ্তাহে নিউইয়র্কের লং আইল্যান্ডে এনা ফরচুনেটো (৯০) করোনায় আক্রান্ত হয়ে ক্রিটিকাল পর্যায়ে চলে গিয়েছিলেন। চিকিৎসকরা এনাকে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন প্রয়োগ করেন। আশ্চর্যজনকভাবে এনার শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটে। যেটাকে চিকিৎসকরা “মিরাকেল” বলেছেন। কেউ কেউ বলছেন করোনার “গেম চেঞ্জার।” হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ক্লোরোকুইনেরই কম টক্সিক ভার্সন। এই ওষুধ লুপাস ও আর্থারাইটিস রোগীদের উপরও ব্যবহার হয়। ইদানিং করোনা চিকিৎসায় এর প্রয়োগে ইতিবাচক ফল মিলেছে বলে দাবি চিকিৎসকদের।
হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ও ক্লোরোকুইন- দুটিই কুইনিন থেকে তৈরি।
করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক হিসেবে জাপানি ওষুধ আভিগানের ক্লিনিকাল পরীক্ষায় সাফল্য পাওয়ার পর তিনি এর কার্যকারিতা নিশ্চিত করেন। এটি সত্যি হলে তা হতে যাচ্ছে পৃথিবীর জন্য বড় একটি খুশির সংবাদ।
গবেষকরা দাবি করেছেন, ৩০ বছরের রোগীদের সাত দিনেই সুস্থ হওয়ার প্রমাণ মিলেছে আভিগান ব্যবহারের ফলে। তবে সন্তান সম্ভবা নারীদের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার সম্ভাবনা থাকায় তা প্রয়োগ করা হয়নি। আভিগানের জেনেরিক নাম ফাভিপিরাভি। আভিগানের ক্লিনিক্যাল পরীক্ষার প্রথম দুটি রাউন্ডে ভালো ফলাফল পাওয়া গেছে। করোনাভাইরাসে এটি প্রথম প্রমাণিত চিকিৎসা হতে পারে, এমন প্রত্যাশায় জাপানে করোনা আক্রান্ত ১২০ জন রোগীর দেহে এটি পরীক্ষামূলক প্রয়োগের পর পাওয়া গেছে সফলতা।
আরও পড়ুন
করোনা আক্রান্তে মারা গেলেন ব্রিটিশ অভিনেত্রী
গবেষকদের মতে, এটি কোভিড-১৯ সৃষ্টিকারী ভাইরাসের বিরুদ্ধেও অ্যান্টিভাইরাস প্রভাব ফেলতে পারে। জায়ান্ট ফুজিফিল্মের সহযোগী প্রতিষ্ঠান টোয়ামা এর রাসায়নিক শাখা ‘আভিগান’ ওষুধটি উৎপাদনকরে। দেহে ফ্লু জাতীয় ভাইরাস প্রতিরোধে এই ওষুধটা আগে থেকেই জাপানে অনুমোদিত ছিল।
-শিশির