করোনা সংবাদঃ
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সারাবিশ্বে ২৪ ঘণ্টায় আরও ৬ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দুই লাখ ছাড়িয়ে গেছে।
আর আক্রান্তের সংখ্যা ২৯ লাখ ছাড়িয়েছে। মাত্র ১৬ দিনের ব্যবধানে বিশ্বে আরো লক্ষাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটলো।
৩১ ডিসেম্বর চীনের উহানে প্রথম এ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ার পর ১০ এপ্রিল এতে মৃতের সংখ্যা ১ লাখ ছাড়ায়। এর মাত্র ১৬ দিন পরই এ সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত (২৬ এপ্রিল, সকাল ১০টা) গোটা বিশ্বে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ২৯ লাখ ২১ হাজার ২০১ জন। মোট মৃতের সংখ্যা ২ লাখ ৩ হাজার ২৮৯ জন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৮ লাখ ৩৬ হাজার ৯৭০ জন। চিকিৎসাধীন আছেন ১৮ লাখ ৮০ হাজার ৯৪২ জন, যাদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ৫৭ হাজার ৮৬৩ জন।
মোট মৃত্যুর প্রায় এক চতুর্থাংশই হয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশ যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৫৪ হাজার ২৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছেন। সেখানে ৯ লাখ ৬০ হাজার ৮৯৬ জন এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ১ লাখ ১৮ হাজার ১৬২ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
ইউরোপের ইতালি, স্পেন ও ফ্রান্সের পর চতুর্থ দেশ হিসেবে যুক্তরাজ্যে মৃত্যু ২০ হাজার ছাড়িয়েছে।
স্পেনে মোট আক্রান্ত ২ লাখ ২৩ হাজার ৭৫৯ জনে পৌঁছেছে। সেখানে মৃতের সংখ্যা এখন ২২ হাজার ৯০২ জন। সুস্থ হয়েছেন ৯৫ হাজার ৭০৮ জন।
ইতালিতে ১ লাখ ৯৫ হাজার ৩৫১ জন আক্রান্ত হয়েছেন। যাদের মধ্যে ২৬ হাজার ৩৮৪ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। আর ৬৩ হাজার ১২০ জন সুস্থ হয়েছেন।
ফ্রান্সে মোট আক্রান্ত ১ লাখ ৬১ হাজার ৪৮৮ জন। যাদের মধ্যে ২২ হাজার ৬১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং সুস্থ হয়েছেন ৪৪ হাজার ৫৯৪ জন।
আক্রান্ত সংখ্যা বেশি হলেও মৃত্যুর হার সবচেয়ে কম জার্মানিতে। সেখানে মোট ১ লাখ ৫৬ হাজার ৫১৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন, যাদের মধ্যে মৃত ৫ হাজার ৮৭৭ জন। অপরদিকে সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ৯ হাজার ৮০০ জন।
যুক্তরাজ্য মোট ১ লাখ ৪৮ হাজার ৩৭৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন। যাদের মধ্যে ২০ হাজার ৩১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে বেলজিয়ামে ৬ হাজার ৯১৭ জন, ইরানে ৫ হাজার ৬৫০ জন, চীনে ৪ হাজার ৬৩২ জন, নেদারল্যান্ডসে ৪ হাজার ৪০৯ জন, ব্রাজিলে ৪ হাজার ৫৭ জন, তুরস্কে ২ হাজার ৭০৬ জন, কানাডায় ২ হাজার ৪৬৫ জন, সুইডেনে ২ হাজার ১৯২ জন, সুইজারল্যান্ডে ১ হাজার ৫৯৯ জন, মেক্সিকোতে ১ হাজার ৩০৫ জন, আয়ারল্যান্ডে ১ হাজার ৬৩ জনের প্রাণ কেড়েছে কোভিড-১৯ নামের এই ভাইরাসটি।
এছাড়া এতে আক্রান্ত হয়ে পর্তুগালে ৮৮০ জন, ভারতে ৮২৫ জন, ইন্দোনেশিয়ায় ৭২০ জন, পেরুতে ৭০০ জন, রাশিয়ায় মৃত ৬৮১ জন, রোমানিয়ায় ৬০১ জন, ইকুয়েডর ৫৭৬ জন, অস্ট্রিয়ায় ৫৩৬ জন, পোল্যান্ডে ৫২৪ জন, ফিলিপাইনে ৪৯৪ জন,আলজেরিয়ায় ৪১৯ জন, ডেনমার্কে ৪১৮ জন, জাপানে ৩৬০ জন, মিসরে ৩০৭ জন, ডোমিনিকান রিপাবলিকে ২৭৩ জন, পাকিস্তানে ২৬৯ জন, হাঙ্গেরিতে ২৬২ জন, দক্ষিণ কোরিয়ায় ২৪২ জন, কলম্বিয়ায় ২৩৩ জন, চেক রিপাবলিকে ২১৮ জন, ইউক্রেনে ২০১ জন, নরওয়ে ২০১ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
এদিকে করোনা থেকে যারা সুস্থ হয়েছেন তাদেরকে এখনই ইমিউনিটি পাসপোর্ট দেয়া উচিত হবে না বলে মনে করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সংস্থাটি বলছে, সুস্থ হয়ে তারা স্বাভাবিকভাবে এখনই চলাফেরা করলে ফের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
চীনের উহানে ডিসেম্বরের শেষ দিকে ভাইরাসটির সংক্রমণ শুরুর পর এটি বিশ্বের ২১০টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারী ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
-কেকে