স্বাস্থ্যঃ
চীনের করোনাভাইরাস নিয়ে বিশ্বজুড়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
প্রাণঘাতী এই ভাইরাস চীনের বাহিরে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা তৈরি হওয়ায় এই সতকর্তা জারি করেছে আন্তর্জাতিক এই স্বাস্থ্য সংস্থাটি।
২৮ ফেব্রুয়ারি, শুক্রবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির প্রধান ড. টেড্রস অ্যাডহানম গেব্রেইয়েসুস এমন ঘোষণা দেন। সংবাদমাধ্যম বিবিসি এমন খবর প্রকাশ করেছে।
এ সময় ড. টেড্রস অ্যাডহানম গেব্রেইয়েসুস বলেন, ‘আমরা এ বিপদকে খাটো করে দেখতে রাজি নই। এ কারণেই আমরা বলছি, এ ভাইরাসের বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি খুবই বেশি। আমরা সতর্কতার মাত্রা উচ্চ থেকে সর্বোচ্চ ধাপে নিয়ে গেছি।’
সংস্থাটির হেলথ ইমার্জেন্সি বিভাগের পরিচালক ডা. মাইক রায়ান বলেন, ‘কোনো রোগের ঝুঁকি দেখলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যত ধরনের সতর্কতা জারি করতে পারে, এবারের মাত্রা তাদের মধ্যে সর্বোচ্চ।’
সারা বিশ্বে ৫০টির বেশি দেশে করোনায় আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে। যার শুরু হয় চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে। শুধুমাত্র শুক্রবারই ইউরোপ, আমেরিকা ও আফ্রিকার ছয়টি দেশে প্রথমবারের মত এ ভাইরাসে সংক্রমণের বিষয়টি ধরা পড়ে। সারাবিশ্বে প্রায় ৮৪ হাজার মানুষ নভেলা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এবং এখন পর্যন্ত এ ভাইরাসে ২ হাজার ৮৭২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এ ভাইরাসে ইউরোপের মধ্যে ইতালির অবস্থা সবচেয়ে বেশি খারাপ। সেখানে ৬৫০ জন ব্যক্তির শরীরে করোনা উপস্থিতি ধরা পড়েছে এবং ১৭ জন ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। চীনের বাইরে দক্ষিণ কোরিয়ায় বেশি মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। সেখানে ২ হাজার ৩৩৭ জনের মধ্যে সংক্রমণ ঘটেছে, মৃত্যু হয়েছে ১৬ জনের।
আর চীনের পর ইরানে এই ভারাসে সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সেখানে আক্রান্ত হয়েছে ৩৮৮ জন, প্রাণ গেছে ৩৪ জনের। আক্রান্তদের মধ্যে ইরানের নারী ও পরিবার বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট মাসুমে এবতেকারও আছেন বলে দেশটির গণমাধ্যমগুলো নিশ্চিত করেছে।
তবে শুক্রবার রাতে হাসপাতাল সূত্রের বরাত দিয়ে বিবিসি ইরানে অন্তত ২১০ জনের মৃত্যুর কথা জানলেও দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র তা নাকজ করে দেন।
এদিকে করোনাভাইরাসে জাপানে ১১ জন, হংকং ও ফ্রান্সে দুজন করে এবং ফিলিপিন্স ও তাইওয়ানে একজন করে মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
-ডিকে