স্বাস্থ্যঃ
ঢাকা করোনা পরবর্তী সময়ে ডায়বেটিস রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় বাংলদেশ আগামী দশ বছরে বিশ্বের সপ্তম কেন্দ্রে পরিনত হবে বলে প্রক্ষেপন করা হয়েছে আন্তর্জাতিক গবেষনায়।
বিশ্ব ডায়বেটিস দিবস উপলক্ষে, রবিবার রাজধানীর রমনা পার্কে মানব বন্ধন পরবর্তী আলোচনায় আসন্ন মহামারী প্রতিরোধে ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রনে দ্রুত রোগ নির্নয়ে জোর দিয়েছেন বিশেষজ্ঞ বক্তারা।
আলোচনায় অংশগ্রহন করেন চিকিৎসক, নার্স ও ঔষধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাগণ।
তারা বলেন, করোনাকালে ঘরের বাইরে কার্যক্রম কমে আসায় বিষন্নতা বাড়ছে। ফলে ডায়বেটিস রোগের ঝুঁকির মধ্যে আসে সকল বয়সের মানুষ।
বাংলাদেশ ডায়বেটিস সমিতির জাতীয় পর্যায়ের আয়োজনের অন্যতম সহযোগী হিসেবে ছিলো ডেনমার্ক ভিত্তিক শীর্ষ স্থানীয় ডায়াবেটিস সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান নভো নরডিস্ক।
এবারে দিবসের প্রতিপাদ্য হলো ‘ডায়বেটিস সেবা নিতে আর দেরি নয়’। অর্থাৎ ইনসুলিনসহ সকল সেবা নিতে হবে এখনি।
পাশাপাশি, সারা দেশে ডায়বেটিস সমিতি এবং ন্যাশনাল হেলথকেয়ার নেটওয়ার্কের মোট ৬৪ টি কেন্দ্রে বিনামুল্যে ডায়বেটিস নির্নয় ও সচেতনতা কার্যক্রম পালন করছে নভো নরডিক্স।
দিনের কর্মসূচী উদ্বোধন করেন বারডেমের মহাপরিচালক প্রফেসর কাইয়ুম চৌধুরী এবং অধ্যাপক ফারুক পাঠান, এবং জনাব ফরিদ কবির এবং নভো নরডিস্ক বাংলাদেশের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও জেনারেল ম্যানেজার রাজর্শী দে সরকার।
এছাড়া অন্যান্য দেশি-বিদেশি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির শীর্ষস্থানীয় কর্ম কর্তা ও ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
আলোচকগন জানান, ক্লান্তি, অবসন্নতা, ওজন হ্রাস, পিপাসা ও ক্ষুধা বেড়ে যাওয়া, ঘন ঘন প্রস্রাব ডায়াবেটিসের লক্ষণ।
প্রফেসর কাইউম বলেন, যাদের পরিবারে ডায়াবেটিসের ইতিহাস আছে, তাঁরা বিশেষ ঝুঁকির মধ্যে আছেন। তাই পরিবারের জীবনযাত্রা পাল্টাতে হবে। কম বয়স থেকেই স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও নিয়মিত ব্যায়ামের অভ্যাস করুন।
উচ্চ ক্যালরিসম্পন্ন খাবার এড়িয়ে চলতে হবে এবং ওজন যেন না বাড়ে সেদিকে খেয়াল রাখার রাখতে পরামর্শ দিয়েছেন এই অন্যান্য বক্তাগন।
নভো নরডিস্কের মহাব্যবস্থাপক রাজর্শী দে সরকার বলেন, নিত্য নতুন উদ্ভাবন ও মানসম্পন্ন ঔষধ নিয়ে আসার মাধ্যমে বাংলাদেশে মানুষের ডায়াবেটিস চিকিৎসায় পরিবর্তন আনতে নভো নরডিস্ক প্রতিজ্ঞাবদ্ধ.
-শিশির