ডেস্ক রিপোর্টঃ
কোরবানির ঈদে বাড়ি যাওয়ার আশায় ট্রেনের অগ্রিম টিকিট পেতে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের টিকিট কাউন্টারে উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে।
শনিবার (২ জুলাই) সকালে কমলাপুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
আজ ভোরবেলা থেকেই লোকসমাগম দেখা যায়, সকাল ৮টা থেকেই ঈদযাত্রার দ্বিতীয় দিনের টিকিট বিক্রি শুরুর কথা।
টিকিট পেতে অনেক টিকিটপ্রত্যাশী বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই স্টেশনে অবস্থান নিয়েছেন।
টিকিটপ্রত্যাশীরা জানান, সড়কপথে বেশি যানজটের আশঙ্কায় তারা ট্রেনে বাড়ি যেতে চাচ্ছেন। সে জন্য ট্রেনের টিকিট সংগ্রহ করতে এসেছেন তারা।
এক টিকিটপ্রত্যাশী বলছেন, শুক্রবার থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হলেও বৃহস্পতিবার রাত থেকেই অপেক্ষা করছি। আজ টিকিট পাবো কিনা জানি না। টিকিট না পাওয়া পর্যন্ত এখানেই আছি।
এদিকে, শান্তিপূর্ণভাবে টিকিট বিতরণ নিশ্চিত করতে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী ও আনসার সদস্যরা কাজ করছেন। কালোবাজারে টিকিট বিক্রি বন্ধে পুলিশের পাশাপাশি র্যাবের উপস্থিতিও রয়েছে।
উল্লেখ্য, ১ জুলাই দেওয়া হয় ৫ জুলাইয়ের ট্রেনের টিকিট, ২ জুলাই দেওয়া হচ্ছে ৬ জুলাইয়ের টিকিট, ৩ জুলাই দেওয়া হবে ৭ জুলাইয়ের টিকিট, ৪ জুলাই দেওয়া হবে ৮ জুলাইয়ের ট্রেনের টিকিট এবং ৫ জুলাই দেওয়া হবে ৯ জুলাইয়ের ট্রেনের টিকিট।
সকাল ঠিক ৮ টায় অনলাইনে টিকিট কেনার উদ্দেশে অনলাইনে রেলওয়ের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করলে টিকিটের কোন হদিস পাওয়া যায়নি। প্রতিদিন প্রায় ২৬ হাজার বিক্রির ব্যবস্থা করা হয়েছে যা অনলাইনে ১৩ হাজার এবং কাউন্টারে ১৩ হাজার বিক্রি করবে বলে জানালেও বাস্তাব চিত্রে কোন মিল নেই।
এছাড়া ফিরতি টিকিট বিক্রি শুরু হবে ৭ জুলাই থেকে। ওইদিন ১১ জুলাইয়ের টিকিট বিক্রি হবে। ৮ জুলাই ১২ জুলাইয়ের টিকিট, ৯ জুলাই ১৩ জুলাইয়ের টিকিট, ১১ জুলাই ১৪ এবং ১৫ জুলাইয়ের টিকিট বিক্রি হবে। তবে ১১ জুলাই সীমিত কয়েকটি আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করবে। ১২ জুলাই থেকে সব ট্রেন চলাচল করবে।
-টিপু