সারাদেশঃ
সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে এক দম্পতির দ্বিতীয় দফায় কন্যা সন্তান জন্ম হওয়ায় ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ করতে এক পাষণ্ড বাবা তার নিজ হাতে শিশু কন্যাকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বেলকুচি পৌর এলাকার মুকন্দগাঁতী মহল্লায় শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে ঘটনাটি ঘটে। পরে নয় মাস বয়সের শিশু সুমাইয়া খাতুনের মরদেহটি পুলিশ উদ্ধার করে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত হত্যাকারী শিশুটির বাবা বদিউজ্জামান পলাতক।
বেলকুচি পৌরসভার মেয়র আশানুর বিশ্বাস বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর ও বেদনা দায়ক হওয়ায় খবরটি জানা মাত্র আমি শিশুটির পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা আমাকে জানিয়েছেন শিশুটির বাবা বদিউজ্জামান মাঝে মধ্যেই শিশুটির মাকে মারধর করতো। পরিবারে কারণে অকারণে অশান্তি লেগেই থাকতো তাদের। সবশেষ এমন ঘটনাটি ঘটালো বদিউজ্জামান। এই শিশু হত্যাকারীর সুষ্ঠু দৃষ্টান্তমূলক বিচার আমরা চাই।
বেলকুচি থানার ওসি আনোয়ারুল ইসলাম জানান, তাঁত শ্রমিক বদিউজ্জামানের সঙ্গে পাবনার চাটমোহরের মির্জাপুর গ্রামের সাত বছর আগে সিকেন্দার আলীর মেয়ে সুন্দরী খাতুনের বিয়ে হয়। কয়েক বছর আগে তাদের একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। এ নিয়েও তাদের সংসারে অসন্তোষ চলছিল। এরপর একটি ছেলে সন্তানের আশা করলেও গত ৯ মাস আগে তাদের সুমাইয়া নামে আরেকটি কন্যা সন্তান হয়। এ নিয়ে মাঝে মাঝেই স্ত্রীকে মারধর করতো ও শিশু সন্তানকে হত্যা করবে বলে প্রকাশ করে আসছিল। এরই এক পর্যায়ে শুক্রবার সকালে শিশু সন্তানকে শ্বাসরোধে হত্যার পর বাড়ির পাশের ডোবায় ফেলে দেয়। বিষয়টি তার স্ত্রীসহ স্থানীয়রা জানলে তারা থানায় খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে ডোবা থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। এরপর থেকেই ঘাতক পলাতক রয়েছে।
তিনি আরও জানান, এ ব্যাপারে শিশুটির মা সুন্দরী খাতুন বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
-আরবি