ডেস্ক রিপোর্টঃ
কক মুরগি পাকিস্তানি বলে মানুষের মধ্যে একটা ভুল ধারণা আছে বলে মন্তব্য করেছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘এই মুরগি জয়পুরহাটে উদ্ভাবন করা। আমাদের দেশের কয়েকটি মুরগি সংকরায়ণ করে আমাদের দেশের বিজ্ঞানীরা এটা উদ্ভাবন করেছেন।’
সোমবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা বলেন।
খন্দকার আনোয়ারুল বলেন, ‘কক পাকিস্তানি হয় কী করে, সেই প্রশ্ন আমার মনেও জেগেছিল। এটা দেখতে পাকিস্তানি মুরগির মতো। যে কারণে যারা এর মার্কেটিং করেন, তারা এর নাম দিয়েছেন পাকিস্তানি মুরগি।
যদিও বিজ্ঞানীরা মুরগিটির নাম দিয়েছেন সোনালি। এই বিজ্ঞানীরা সত্যিকার অর্থে রাষ্ট্রীয় পুরস্কার পাওয়ার মতো কাজ করেছেন। কাজেই এ রকম অনেক অতি উৎপাদনশীল জিনিস আমাদের প্রস্তুত আছে।’
সচিব বলেন, ‘আমাদের খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে হবে। বৈদেশিক মুদ্রার মজুত কমে যাওয়াসহ ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে খাদ্যসংকট থেকে যাবে। যে কারণে সবার আগে খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে আপ্রাণ চেষ্টা করতে হবে। এমন সম্ভাবনাও আছে। গেল পাঁচ-ছয় মাসে আমরা তা দেখেছিও। আগামী এক থেকে তিন বছরের মধ্যে খাদ্য উৎপাদন দ্বিগুণ বেড়ে যাবে। পর্যাপ্ত বীজ উৎপাদনেরও ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, কৃষি, মৎস্য ও পশুসম্পদে নতুন নতুন ধরন আসছে। এগুলো পরীক্ষিত, কেবল স্থলাভিষিক্ত করলেই আগামী দু-তিন বছরের মধ্যে খাদ্য উৎপাদন দ্বিগুণ হয়ে যাবে। উদাহরণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি নিজেও বিআর-২8 ও ২৯ চাষ করে এমন কয়েকটি কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে গিয়েছি। এই দুই ধরনের ধান এক একরে প্রায় ৫০ মণ হয়। বিআর ৮৯ একই জায়গায় চাষ করলে একরে প্রায় ১০০ মণ ধান উৎপাদন হবে।’
বিআর ৮৯ ধান উদ্ভাবন করে চলতি বছর একুশে পদক পেয়েছেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) তিন বিজ্ঞানী।
বর্তমানে এই ধানের পর্যাপ্ত বীজ উৎপাদন করা হচ্ছে। ধানের এ রকম উচ্চ ফলনের আরও কয়েকটি ধরন আছে, যা মাঠ পর্যায়ে দ্রুত বিতরণের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এগুলো সবই বাংলাদেশের বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবন। তারাই গবেষণা করে এগুলো আবিষ্কার করেছেন।
-আরপি