নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বাংলাদেশে তৈরি ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্যের গবেষণা, উন্নয়ণে ওয়ালটন এবং বুয়েট যৌথভাবে কাজ করবে। এর ফলে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ণ ও প্রযুক্তিগত উৎকর্ষে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে।

চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে উভয় প্রতিষ্ঠান অবদান রাখতে সক্ষম হবে।

সোমবার (১৫ মার্চ ২০২১) গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন কারখানা পরিদর্শন করে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার এসব কথা জানান।

কারখানা পরিদর্শনকালে বুয়েট ভিসির সঙ্গী ছিলেন আরো ১০ জন বিশিষ্ট শিক্ষক। তারা হলেন বুয়েটের ইলেট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান ড. মোহাম্মদ কামরুল হাসান, একই বিভাগের প্রফেসর ড. আনিসুজ্জামান তালুকদার, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফয়সাল, প্রফেসর ড. আসিফুল ইসলাম, প্রফেসর ড. হারুন-উর রশিদ, প্রফেসর ড. কাজী মুজিবুর রহমান, প্রফেসর ড. জিয়াউর রহমান খান, ম্যাকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মামুন এবং প্রফেসর ড. মোহাম্মদ এহসান।

সে সময় উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ভাইস চেয়ারম্যান এস এম শামছুল আলম, ম্যানেজিং ডিরেক্টর প্রকৌশলী গোলাম মুর্শেদ এবং ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এস এম রেজাউল আলম।

উল্লেখ্য, এর আগে রিসার্চ ও ডেভেলপমেন্ট (গবেষণা ও উন্নয়ণ) নিয়ে যৌথভাবে কাজ করার উদ্দেশ্যে দেশের চারটি প্রকৌশল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। ওই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি (আইইউটি), রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট), খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ডিপার্টমেন্ট অব ম্যাকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ডিপার্টমেন্ট অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং।

ওয়ালটন কারখানা পরিদর্শনের বিষয়ে বুয়েট ভিসি বলেন, “আমরা বিস্মিত। বাংলাদেশে পণ্য উৎপাদনকারী হিসেবে ওয়ালটন বিশ্ববিখ্যাত। সারা বিশ্বে তাদের পণ্য রপ্তানি হচ্ছে। এটা আমাদের জন্য খুবই আনন্দদায়ক। পণ্যের মানের ক্ষেত্রে ওয়ালটন উল্লেখযোগ্য পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। ওয়ালটন বিদেশি ব্র্যান্ডগুলোর প্রতিযোগি হয়ে উঠেছে।”

প্রকৌশলী গোলাম মুর্শেদ বলেন, “ওয়ালটনের উদ্যেক্তারা স্বপ্ন দেখেছিলেন ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্যের দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। সে স্বপ্ন বাস্তবায়নে দেশের মেধাবী মানুষেরা বিশেষ করে প্রকৌশলীরা কাজ করছেন। বাংলাদেশের তরুণ প্রকৌশলীরা ওয়ালটনেই যাতে গবেষণা করতে পারেন, সে ক্ষেত্র আমরা তৈরি করেছি। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে আমরা যৌথভাবে কাজ করার উদ্যোগ নিয়েছি। এর ফলে ‘ব্রেইন ড্রেইন’ বন্ধ হবে। দেশ তার মেধাবী সন্তানদের সেবা পাবে।”

কারখানা প্রাঙ্গনে পৌঁছে অতিথিরা প্রথমে ওয়ালটনের বিশাল কর্মযজ্ঞের উপর নির্মিত ভিডিও ডক্যুমেন্টারি উপভোগ করেন। এরপর তারা ওয়ালটনের সুসজ্জিত প্রোডাক্ট ডিসপ্লে সেন্টার ঘুরে দেখেন। তারা বিশ্বমানের রেফ্রিজারেটর উৎপাদন প্রক্রিয়া, মেটাল কাস্টিং, কম্প্রেসর, এয়ার কন্ডিশনার, টেলিভিশন, এসএমটি প্রোডাকশন, পিসিবি, কম্পিউটার এবং মোবাইল ফোন উৎপাদন ইত্যাদি কারখানা সরেজমিনে পরিদর্শন করেন।

বুয়েট প্রতিনিধিদলের কারখানা পরিদর্শনের সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর লিয়াকত আলী, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর আলমগীর আলম সরকার, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর সিরাজুল ইসলাম, তৌফিক-উল কাদের, তাপস কুমার মজুমদার, আজিজুল হাকিম, প্রমুখ।

-শিশির

FacebookTwitter

About Bangla Daily

একটি পরিপূর্ণ বাংলা অনলাইন পত্রিকা। মাতৃভাষার দেশ বাংলাদেশ থেকে সরাসরি সস্প্রচারিত হচ্ছে।

View all posts by Bangla Daily