ওমানের সুলতান কাবুস বিন সাইদ আল সাইদ আর নেই

আন্তর্জাতিকঃ
শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন ওমানের সুলতান কাবুস বিন সাইদ আল সাইদ। ১১ জানুয়ারি, শনিবার ভোরে ওমানের রয়্যাল কোর্টের দিওয়ান সুলতান কাবুস বিন সাইদের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন। ১০ জানুয়ারি, শুক্রবার সন্ধ্যায় ৭৯ বছর বয়সে তার মৃত্যু হয়।

সুলতানের মৃত্যুতে ‍ওমানে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া ৪০ দিন পর্যন্ত অর্ধনমিত থাকবে দেশটির জাতীয় পতাকা। টাইমস অব ওমানের বরাত দিয়ে এমন খবর প্রকাশ করেছে সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমস।

এদিকে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা’র খবরে বলা হয়, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে নতুন সুলতানের মনোনয়নের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে রাজ পরিবার।

প্রয়াত কাবুস বিন সাইদ ১৯৭০ সালে এক রক্তপাতহীন অভ্যুত্থানের মাধ্যমে পিতা সাইদ বিন তৈমুরকে উৎখাত করে ওমানের রাজ ক্ষমতায় বসেন। এরপর থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি এ ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত ছিলেন। আরবের ইতিহাসের দীর্ঘতম এই শাসক বিচ্ছিন্ন ও অবকাঠামোহীন ওমানকে আধুনিক রাষ্ট্রে পরিণত করেছেন।

তবে সম্প্রতি অসুস্থতার কারণে তিনি দীর্ঘদিন ধরেই শাসনকাজে অনুপস্থিত ছিলেন। জার্মানি ও বেলজিয়ামে চিকিৎসা শেষে রাজধানী মাস্কটে ফেরেন সুলতান কাবুস বিন সাইদ। সুলতানের অসুস্থতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়া না হলেও ধারণা করা হয় তিনি কোলন ক্যান্সারে ভুগছিলেন।

কোনো সন্তান বা ভাই না থাকায় কে হবেন সুলতান কাবুস বিন সাইদের উত্তরসূরি তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তবে নিকটাত্মীয় হিসেবে আছেন সুলতানের চাচাতো ভাইয়েরা। তবে ২০১১ সালে উত্তরাধিকার নির্ধারণের প্রক্রিয়ায় সংশোধনী আনেন কাবুস।

ওই সংশোধনীতে বলা হয়, রাজপরিবারে কোনো বিরোধ দেখা দিলে সুলতানের নিয়োগকৃত শীর্ষ পাঁচ কর্মকর্তার একটি কাউন্সিল নতুন সুলতান নির্বাচনের প্রক্রিয়ায় সংযুক্ত হবেন। এরপরও রাজ পরিবার শাসক নির্ধারণে ব্যর্থ হলে ওমানের আইন অনুযায়ী, কাবুসের লিখে রেখে যাওয়া দুটি সিল করা চিঠিতে যে ব্যক্তির নাম থাকবে তিনিই শাসকের দায়িত্ব পাবেন।

-ডিকে

FacebookTwitter