মিলি সুলতানা, কুইন্স, নিউইয়র্ক থেকেঃ
হিলারি ক্লিনটনকে আমি সেদিন আমার পছন্দের তালিকা থেকে ছেঁটে দিয়েছি, যেদিন জানতে পেরেছি ঢাকার সাভারে রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির পর আমেরিকা বাংলাদেশের গার্মেন্টসের সুযোগ সুবিধা বন্ধ করে দিয়েছিলো। এই মহৎ কাজটি হিলারি করেছেন, তার বন্ধু ডক্টর ইউনুস এবং নিউইয়র্কের কিছু বাংলাদেশ বিদ্বেষীর লবিংয়ের জোরে। আমি বুঝিনা মুসলিম দেশগুলোতে হামলার জন্য অনেকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে এককভাবে দোষ দিচ্ছে কেন? ডেমোক্রেটদের আমলে কি মুসলিম দেশে আক্রমণ হয়নি? ওবামার আমলে হামলা হত্যা কম হয়নি। ট্রাম্পের আমলে নন ইমিগ্রেন্টদের যতটা ডিপোর্টেশন দেয়া হয়েছে, ওবামার আমলে তার তিনগুণ বেশি মানুষকে ডিপোর্ট করা (দেশে ফেরত পাঠানো) হয়েছিলো। এমনকি বারাক ওবামার সরকার ফেইক ইউনিভার্সিটি বানিয়ে নব্বইজনকে পড়াশুনা করার নাম করে তাদেরকে এরেস্ট করা হয়েছিলো। পড়তে আসা স্টুডেন্টরা জানতো না তারা ওবামার রচিত ফাঁদে পড়তে যাচ্ছে। ফেইক ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষালাভের নামে ৯০ জন ছাড়াও ২৫০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সেরা কুচক্রীর কাজ করেছিল “ডেমোক্রেট লোগো” ব্যবহার করে ওবামা সরকার অগণতান্ত্রিক বহু কাজ করেছেন। ওবামা লিবিয়াকে ধ্বংস করেছেন, গাদ্দাফিকে হত্যা করেছেন। হিলারি সেরা ড্রামাবাজ পলিটিশিয়ান। ওবামা হিলারি এখন ভং ধরা মানবতার পতাকা উড়াচ্ছেন।
জীবনযাপনের মানের দিকে থেকে তেল-সমৃদ্ধ লিবিয়া একসময় আফ্রিকার শীর্ষে ছিল। স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ছিল কর্ণেল মুয়াম্মার গাদ্দাফির পুরোপুরি সরকারের দায়িত্বে। টাকা পয়সা লাগতো না। গাদ্দাফি লিবিয়ার রাজনৈতিক এবং সামাজিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করেছিলেন। ২০১১ সালে সেটি পুরোপুরি ধ্বংস করে দেয় বারাক ওবামা। গাদ্দাফিকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করে লিবিয়ার সুখশান্তি চিরতরে ছিনিয়ে নেন ওবামা। রিপাবলিকান বাপ-বেটা জর্জ বুশ আগুন ধরিয়ে দিয়ে গেছেন। এখনো সেই আগুনে মুসলিম দেশগুলো পুড়ে ভস্ম হচ্ছে। ট্রাম্প ব্যবসায়ী, রাজনীতি কম বুঝেন। ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর মার্কিন অর্থনীতি ভালো জায়গায় চলে এসেছিল। ট্রাম্প ব্যবসায়ী বলে দেশে প্রচুর কর্মসংস্থান হয়েছিলো। এক করোনাভাইরাস মহামারী এসে কর্মসংস্থান ভন্ডুল করে দেয়। ওবামা মার্কিন অর্থনীতিকে শোচনীয় পর্যায়ে রেখে বিদায় নিয়েছিলেন। ওবামার দেশের একজন ব্যক্তি নাম তার মাতিগারি। এই ভদ্রলোক তার টুইটার অ্যাকাউন্টে ওবামাকে নাম মেনশন করে লিখেছেন, “Obama, you invaded Libya. Got killed Gaddafi.There endless war you started is still on today. There is slave trade in Libya today because of you. You should not speak. You should be quite. How do you sleep well at night?”
যারা আমেরিকার রাজনীতির খোঁজখবর রাখেন তাদের হয়ত মনে আছে লিবিয়ায় আফ্রিকানদের এনে তাদেরকে দাস হিসেবে বিক্রি করা হত। ব্রিটিশভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্যা গার্ডিয়ান এবং দুবাইভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল-জাজিরা আফ্রিকান দাস প্রথার (African slave trade) জন্য ওবামাকে দায়ী করেছিলো। ওবামার স্বগোত্রীয়রাও এই সত্য জানেন। সুতরাং ওবামাকে দয়ালু মনে করার কোনো কারণ নেই। মাস্ত ভন্ড হিলারি যখন ফরেন মিনিস্ট্রিতে ছিলেন মুসলিম দেশে যুদ্ধ বাধানোর সবুজ সংকেত তিনি স্বতঃস্ফূর্তভাবে দিয়েছিলেন। ওবামা হিলারি মুখেই কেবল ডেমোক্রেট ডেমোক্রেট করছেন। বাস্তবে তারা এর সম্পূর্ণ বিপরীত। খুবই জঘন্য মানসিকতার। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মুখের দোষ আছে। উল্টাপাল্টা কথা বলে তিনি প্রচুর নিন্দা কামাচ্ছেন। ট্রাম্প যদিও বাচাল (Talkative) কিন্তু So called ডেমোক্রেটদের মত ভন্ড নন। তিনি ঠুশঠাশ কথা বলে সমালোচনার মুখে পড়ে যান।
-শিশির