অনলাইনঃ
দেশব্যাপী ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে পুরুষ এডিস মশাকে বন্ধ্যাকরণের মাধ্যমে এডিস মশার বংশ হ্রাস করার পদ্ধতি উদ্ভাবন করা হয়েছে।
পরমাণু শক্তি কমিশনের বিজ্ঞানীরা নতুন এই পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন।
শনিবার সকালে কমিশনের গবেষণাগারে জীবপ্রযুক্তি বিভাগের বিজ্ঞানীদের এ উদ্ভাবনী পরিদর্শন করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান।
পরিদর্শন শেষে বিজ্ঞানীদের নতুন এ উদ্ভাবনী দেখে মন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এ সময় মন্ত্রী শিগগিরই এই পদ্ধতিটি মাঠ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ এবং মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
উদ্ভাবিত পদ্ধতি সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানীরা মন্ত্রীকে জানান, ডেঙ্গু নিরসনে স্টেরাইল ইনসেক্ট টেকনিক (এসআইটি) পদ্ধতির প্রায়োগিক বিষয়ে গবেষণা কার্যক্রম ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। এসআইটি পদ্ধতিতে পুরুষ এডিস মশাকে গামা রশ্মি প্রয়োগের মাধ্যমে বন্ধ্যাকরণ করা হয়। পরে পুরুষ এডিস মশাকে ডেঙ্গু প্রাদুর্ভাব রয়েছে এমন এলাকায় অবমুক্ত করা হয়। এতে সেটি স্ত্রী এডিস মশার সঙ্গে মিলিত হলে স্ত্রী এডিস মশা যে ডিম বা লার্ভা নির্গত করবে তা থেকে এডিস মশার বংশবিস্তার হবে না। ফলে ওই ডিম বা লার্ভা নিষিক্ত না হলে মশার পরিমাণ কমতে থাকবে। ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে এটি একটি অত্যন্ত কার্যকর এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত পদ্ধতি বলে জানান বিজ্ঞানীরা।
পাশাপাশি এটি একটি পরিবেশ বান্ধব পদ্ধতি। তাই পরিবেশে এর কোন বিরূপ প্রভাব নেই। এই পদ্ধতিতে শুধুমাত্র বন্ধ্যা পুরুষ মশাই প্রকৃতিতে অবমুক্ত করা হবে। যেহেতু পুরুষ মশা ডেঙ্গুর জীবাণু বহনে অক্ষম, তাই এর মাধ্যমে ডেঙ্গুর বিস্তার ঘটার কোন সম্ভাবনা নেই। এছাড়া পুরুষ এডিস মশা মানুষকে কামড়ায়ও না। তাই এই এসআইটি পদ্ধতিটি দেশের ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলেও আশা প্রকাশ করেন বিজ্ঞানীরা।
এসময় কমিশনের চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক, সদস্য অধ্যাপক ডা. মো. সানোয়ার হোসেন, পরমাণু শক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মহাপরিচালক ড.এম.আজিজুল হক, এনআইবির মহাপরিচালক ড. মো. সলিমুল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
-কেএম