অর্থনীতিঃ

আরো অধিক সংখ্যক আবেদনকারীদের সুয়োগ করে দেওয়ার লক্ষ্যে, ‘ ৩য় এইচএসবিসি বিজ্নেস এক্সিলেন্স্ অ্যাওয়ার্ডস্’ এর আবেদন গ্রহনের সময় ১০ অক্টোবর ২০২৩ পর্যন্ত বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে দি হংকং এন্ড সাংহাই ব্যাংকিং কর্পোরেশন লিমিটেড বাংলাদেশ।

দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে বাংলাদেশী ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও উদ্যোক্তাদের উল্লেখযোগ্য অবদানের স্বীকৃতি দেওয়ার উদ্দেশ্যেই এই উদ্যোগ।

এবছর অ্যাওয়ার্ডস্ আয়োজনের থীম হচ্ছে: বাংলাদেশ: প্রাউডলি রেজিলিয়েন্ট, গ্লোবালি এক্সিলেন্ট।

এইচএসবিসি বিজ্নেস এক্সিলেন্স্ এ্যাওয়ার্ডস এর নমিনেশন ফর্ম পূরণের মাধ্যমে আটটি ক্যাটাগরিতে অংশগ্রহনের সুযোগ রয়েছে।

‘তৃতীয় এইচএসবিসি বিজ্নেস এক্সিলেন্স্ অ্যাওয়ার্ডস্’ -এর ক্যাটাগরিগুলো হলো:

১. রপ্তানিতে এক্সিলেন্স্ –

তৈরি পোশাক শিল্প (আরএমজি) বার্ষিক রপ্তানি আয় ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ও তার বেশি

২. রপ্তানিতে এক্সিলেন্স্ –

সাপ্লাই চেইন এবং ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ বার্ষিক রপ্তানি আয় ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ও তার বেশি ।

৩. রপ্তানিতে এক্সিলেন্স্ –

অসনাতন ও উদীয়মান ক্ষেত্র বার্ষিক রপ্তানি আয় ৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ও তার বেশি (তৈরি পোশাক শিল্প ও টেক্সটাইলস্ ব্যতিত)

৪. আমদানী-বিকল্প শিল্পে অসামান্য অবদান:

আমদানী-বিকল্প পণ্যের পরিমান ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা তার বেশী।

৫. আভ্যন্তরীন বিনিয়োগ ও অবকাঠামো উন্নয়নে অসামান্য অবদান:

বৈদেশিক বিনিয়োগ যা হতে পারে মূলধন, প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ সংক্রান্ত ইত্যাদি যা আভ্যন্তরীন বিনিয়োগে সহায়ক এবং/অথবা নির্দিষ্ট অবকাঠামো বা ইন্ফ্রাস্ট্রাক্চার উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে জীবনযাত্রার মান ও জিডিপি উন্নয়নে কার্যকর অবদান রেখেছে এমন প্রতিষ্ঠান।

৬. সাসটেনাবিলিটিতে এক্সিলেন্স্:

এমন প্রতিষ্ঠান যাঁরা সাসটেনাবিলিটি উদ্যোগ বা প্রজেক্টের মাধ্যমে সমাজে কার্যকরী ও যুগান্তকারী অবদান রেখেছে

৭. নতুন প্রযুক্তি প্রনয়নে শ্রেষ্ঠ:

এমন প্রতিষ্ঠান যাঁরা উদ্ভাবনী প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে জনজীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে এবং পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিতেও অবদান রাখছে।

৮. স্পেশাল এচিভমেন্ট এ্যাওয়ার্ড:

এমন ব্যাক্তি/ব্যাক্তিবর্গ এবং/অথবা প্রতিষ্ঠান যাঁরা দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে, ইনোভেশনে এনেছে এক্সিলেন্স্, এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে সামাজিক অবদান রেখেছে

‘এইচএসবিসি বিজ্নেস এক্সিলেন্স্ অ্যাওয়ার্ডস্’ যাঁদের পৃষ্ঠপোষকতায় হচ্ছে, তাঁরা হলেন: গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রনালয় ও বৃটিশ হাই কমিশন ঢাকা। বিচারকমন্ডলী বা জুরি প্যানেলে থাকবেন, এইচএসবিসি সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট টিম, বাণিজ্য মন্ত্রনালয় ও বৃটিশ হাই কমিশন ঢাকা-র নির্বাচিত সদস্যগণ।

বিজয়ীদের নির্বাচনের ক্ষেত্রে দেশের রপ্তানি ও সামগ্রিক অর্থনীতিতে অবদান, ডাইভার্সিটি, সামাজিক দায়িত্ববোধ, টেশসই পরিচালন প্রক্রিয়া, রেগুলেটরী কমপ্লায়েন্স প্রভৃতিও বিচার করা হবে।

বাংলাদেশে কার্যরত সকল ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও উদ্যোক্তাগণ ‘এইচএসবিসি বিজ্নেস এক্সিলেন্স্ অ্যাওয়ার্ডস্’-এ অংশগ্রহণ করতে পারবেন; অংশগ্রহনকারীকে এইচএসবিসি-র গ্রাহক হওয়ারও প্রয়োজন নেই। অংশগ্রহনের জন্যে কোনো এন্ট্রি ফি বা আর্থিক স্বীকৃতি নেই।

নমিনেশন ফর্ম ও অন্যান্য বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে http://business.hsbc.com.bd/bea ওয়েবসাইট-এ। প্রতিষ্ঠানসমূহ অন্য প্রতিষ্ঠানকেও মনোনয়ন দিতে পারবেন।

নমিনেশন ফর্ম জমা দেওয়ার বর্ধিত তারিখ ১০ অক্টোবর ২০২৩।

-শিশির

FacebookTwitter