উন্নয়ন ধরে রাখতে নৌকার বিকল্প নেই: দিলীপ আগারওয়ালা

উন্নয়ন ধরে রাখতে নৌকার বিকল্প নেই: দিলীপ আগারওয়ালা
উন্নয়ন ধরে রাখতে নৌকার বিকল্প নেই: দিলীপ আগারওয়ালা

সারাদেশঃ

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য দিলীপ কুমার আগারওয়ালা বলেছেন, উন্নয়নের ধারা ধরে রাখতে হলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই। তাঁর সুযোগ্য নেতৃত্বে দেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে।

শহর থেকে প্রত্যন্ত গ্রাম পর্যন্ত উন্নয়নের ছোঁয়া আজ দৃশ্যমান। এখন শুধু সামনে এগিয়ে যাওয়ার পালা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর গাড়ীর কোনো ব্যাক গিয়ার নেই, সব সামনে। আর এই গাড়িতে যারা থাকতে চান, তারা নৌকা মার্কার পতাকা তলে আসেন।

দেশের দীর্ঘ মেয়াদী উন্নয়নের জন্য ক্ষমতার ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। যারা দেশকে পিছিয়ে নিতে চায়, যারা বাংলাদেশকে এখনো পাকিস্তান বানোনো স্বপ্ন দেখে, যাদের সময় দেশ দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন ছিল, তারা আর যাই করুক দেশকে ভালো কিছু দিতে পারবে না।

গতকাল শুক্রবার বিকেলে আলমডাঙ্গা উপজেলা ও পৌর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দিলীপ কুমার আগারওয়ালা আরও বলেন, আমি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যার জন্ম না হলে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের জন্ম হত না।

যিনি আমাদেরকে শিখিয়ে গেছেন কীভাবে মাথা উঁচু করে বাঁচতে হয়। তাঁর স্বপ্ন ছিল এই বাংলা হবে সোনার বাংলা। আমার মনে হয় তার স্বপ্নের পথ ধরে তারই সুযোগ্য উত্তরসূরী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর যোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ সোনার বাংলায় রূপান্তরিত হওয়ার পথেই এগিয়ে যাচ্ছে। যার জলন্ত প্রমাণ করোনা পরবর্তী বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যেও বাংলাদেশের অবস্থান পৃথিবীর অনেক দেশের চেয়ে ভালো। সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে এবং প্রধানমন্ত্রীর যোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশে আজ সমগ্র বিশ্বের বিস্ময়।

তিনি আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আজ পদ্মা সেতু দৃশ্যমান, চলতি মাসের ২৫ তারিখে উদ্বোধন। এর এই পদ্মা সেতুর সুফল পাবে সারা দেশে, বিশেষ করে দক্ষিণের ২১টি জেলা। কর্ণফুলি টানেল, মেট্রোরেল, বৈদেশিক রিজার্ভ সবচেয়ে বেশি, দেশ আজ প্রায় শতভাগ বিদ্যুতের আওতায়, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ।

আপনারা জানেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের সংগঠনকে আরও গতিশীল ও বেগবান করার নির্দেশনা দিয়েছেন। তারই ধারাবাহিকতায় আলমডাঙ্গা উপজেলা ও পৌর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের এ ত্রিবার্ষিক সম্মেলন।

আমি এই সম্মেলনের সফলতা কামনা করছি। আমি বিশ্বাস করি এই সম্মেলনের মাধ্যমে আগামী নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গার স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীরা উল্লেখ্যযোগ্য আবদান রাখবেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি নির্মল কুমার চ্যাটার্জী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি সৈয়দ নাসির উদ্দীন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খায়রুল হাসান জুয়েল, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল সায়েম, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক শাকিল আহমেদ জুয়েল বাবু, চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি আসাদুল হক বিশ্বাস, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য দিলীপ কুমার আগারওয়ালা, চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আব্দুল মালেক, কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম পানু, চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. শফিকুল ইসলাম শফি ও চুয়াডাঙ্গা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মতিয়ার রহমান মতি। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক তরিকুল ইসলাম।

সম্মেলনে আলোচনা সভা শেষে শরিফুল ইসলাম রিফাতকে আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও তরিকুল ইসলাম জুয়েলকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করে কমিটি ঘোষণা করা হয়।

-শিশির

FacebookTwitter