নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ঈদুল আজহা উপলক্ষে ট্রেনের যাত্রী পরিবহনে আগাম টিকিট বিক্রি আগামী ৮ আগস্ট থেকে শুরু হচ্ছে।
রেলপথ মন্ত্রী মো. মুজিবুল হক বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর রেলভবনে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে বাংলাদেশ রেলওয়ের সার্বিক প্রস্তুতি বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন।
মন্ত্রী বলেন, এবার ঈদ উপলক্ষে ৯ জোড়া বিশেষ ট্রেন দেওয়া হবে। এবার সর্বমোট ১ হাজার ৪০২টি কোচ চলাচল করবে এবং সর্বমোট ২২৯টি লোকোমোটিভ ব্যবহার করা হবে।
তিনি বলেন, ঈদের আগাম টিকিট বিক্রি ৮ আগস্ট থেকে শুরু হয়ে আগামী ১২ আগস্ট পর্যন্ত চলবে। ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে এই টিকিট দেওয়া হবে। ৮ আগস্ট দেওয়া হবে ১৭ আগস্টের টিকিট। ৯ আগস্ট ১৮ আগস্টের, ১০ আগস্ট ১৯ আগস্টের, ১১ আগস্ট ২০ আগস্টের এবং ১২ আগস্ট ২১ আগস্টের আগাম টিকিট দেওয়া হবে।
মুজিবুল হক বলেন, ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ২৬টি কাউন্টারের মাধ্যমে টিকিট বিক্রি করা হবে। এই ২৬টির মধ্যে নারীদের জন্য আলাদা দুটি কাউন্টার সংরক্ষিত থাকবে। একজন যাত্রী সর্বোচ্চ চারটি টিকিট নিতে পারবেন। বিক্রি হওয়া টিকিট ফেরত নেয়া হবে না। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে এই টিকিট বিক্রি শুরু হবে।
ঈদের ফিরতি টিকিট আগামী ১৫ আগস্ট থেকে দেয়া হবে জানিয়ে রেলপথমন্ত্রী বলেন, ১৫ আগস্ট দেওয়া হবে ২৪ আগস্টের টিকিট। আর ১৬ আগস্ট ২৫ আগস্টের, ১৭ আগস্ট ২৬ আগস্টের, ১৮ আগস্ট ২৭ আগস্টের এবং ১৯ আগস্ট ২৮ আগস্টের টিকিট দেয়া হবে। ফিরতি টিকিট পাওয়া যাবে রাজশাহী, খুলনা, রংপুর, দিনাজপুর ও লালমনিরহাট স্টেশন থেকে।
রেলপথ মন্ত্রী আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রস্তুতি সম্পর্কে আরও বলেন, আসন্ন ঈদে ৯ জোড়া বিশেষ ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এই ট্রেনগুলো হলো- দেওয়ানগঞ্জ স্পেশাল: ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ-ঢাকা, চাঁদপুর স্পেশাল-১, চাঁদপুর স্পেশাল-২, রাজশাহী স্পেশাল, দিনাজপুর স্পেশাল: দিনাজপুর-ঢাকা-দিনাজপুর, লালমনিরহাট স্পেশাল: ঢাকা-লালমনিরহাট-ঢাকা, খুলনা এক্সপ্রেস: খুলনা-ঢাকা-খুলনা, শোলাকিয়া স্পেশাল-১: ভৈরববাজার-কিশোরগঞ্জ-ভৈরববাজার, শোলাকিয়া স্পেশাল-২: ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ।
তিনি বলেন, টিকিট কালোবাজারী প্রতিরোধে ঢাকা, বিমানবন্দর, জয়দেবপুর, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, সিলেট, রাজশাহী, দিনাজপুর এবং খুলনাসহ সকল বড় বড় স্টেশনে জিআরপি, আরএনবি, বিজিবি ও স্থানীয় পুলিশ এবং র্যাব এর সহযোগিতায় টিকিট কালোবাজারী প্রতিরোধে সার্বক্ষণিক প্রহরার ব্যবস্থা করা হবে। তাছাড়া জেলা প্রশাসকদের সহায়তায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে।
মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ রেলওয়েতে প্রতিদিন ২ লাখ ৬০ হাজার যাত্রী চলাচল করে। তবে ঈদুল আজহা উপলক্ষে দৈনিক ৩ লাখ যাত্রী চলাচল করার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের সম্পদ সীমিত। এই সম্পদ দিয়েই আমরা যাত্রীদের সর্বোচ্চ সেবা দেয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে রেলপথ সচিব মোঃ মোফাজ্জেল হোসেন, রেলওয়ের মহাপরিচালক মোঃ আমজাদ হোসেনসহ রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
-আরবি