স্পোর্টস ডেস্কঃ
দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছেন ইমরুল কায়েস। তার ব্যাটে ভর করে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এক ম্যাচ হাতে রেখেই ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ দল। দুই ম্যাচে ২৩৪ রান করেন কায়েস।
বুধবার চট্টগ্রাজ জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ২৪৬ রান সংগ্রহ করে জিম্বাবুয়ে। জবাবে খেলতে নেমে ৪৪.১ ওভারে ৭ উইকেট হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ দল।
প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে ঢাকায় ১৪৪ রান করেন ইমরুল কায়েস। বুধবার চট্টগ্রামেও দুর্দান্ত খেলেছেন এ ওপেনার। ভালো খেলা সত্ত্বেও আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে তাকে। মাত্র ১০ রানের জন্য ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরি করতে পারেননি কায়েস।
শুধু কায়েসই নন, অসাধারণ খেলা সত্ত্বেও ১৭ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন ওপেনার লিটন দাস।
জিম্বাবুয়ের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭৫ রান করেন ব্রান্ডন টেইলর। বাংলাদেশ দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন সাইফউদ্দিন।
টার্গেট তাড়া করতে নেমে ইমরুল কায়েস ও লিটন দাসের সৌজন্যে উড়ন্ত সূচনা করে বাংলাদেশ দল। উদ্বোধনী জুটিতে ১৪৮ রান সংগ্রহ করে দলের জয়ের পথ সহজ করে দেন লিটন-কায়েস।
ইনিংসের প্রথম ওভারেই সাজঘরে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল লিটন দাসের। আম্পায়ার এলবিডব্লিউর আবেদনে সাড়া দিলে রিভিউ নেন লিটন। ভাগ্য ফেবারে থাকায় লাইফ পান তিনি। শূন্য রানে লাইফ পেয়ে ৪৮ বলে পূর্ণ করেন ফিফটি। এরপর সেঞ্চুরির পথেই ছিলেন। কিন্তু একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন এ ওপেনার। সাজঘরে ফেরার আগে ৭৭ বলে ১২ চার ও এক ছক্কায় করেন ৮৩ রান।
ভালো শুরুর পরও তিন নম্বর পজিশনে ব্যাট করতে নেমে সুবিধা করতে পারেননি ফজলে মাহমুদ রাব্বি। আগের ম্যাচে ৪ বলে শূন্য রানে আউট হওয়া ফজলে রাব্বি স্টাম্পিং হওয়ার আগে খেলেন ৫ বল।
মিরপুরে অভিষেক ম্যাচে ব্যাটে বলে ব্যর্থ রাব্বিকে চট্টগ্রামে দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে খেলানোর আগে অনেক প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাকে। তবে ফজলে রাব্বির কাঁধে হাত রেখে অধিনায়ক বলেছেন, একটা ম্যাচ দিয়ে কারো পারফরম্যান্স বিচার করা ঠিক নয়। অধিনায়কের কাছ থেকে অভয় পেয়েও প্রত্যাশিত পারফর্ম করতে পারেননি ফজলে রাব্বি। এদিনও ফেরেন শূন্য রানে।
এরপর মুশফিকুর রহিমকে সঙ্গে নিয়ে ৫৯ রানের জুটি গড়েন ইমরুল কায়েস। এই জুটির পথে ২৫ রান করার মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের তিন ফর্মেটে ১০ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন মুশফিক।
তবে সেঞ্চুরি পথে থাকা কায়েস বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে সিকান্দার রাজার বলে চিগুম্বরার হাতে ক্যাচ তলে দেন। ইনিংসের শুরু থেকে অসাধারণ খেলে যাওয়া এ ওপেনার ফেরেন ১১১ বলে ৭টি চারের সাহায্যে ৯০ রান করে।
ইমরুলের বিদায়ের পর মোহাম্মদ মিঠুনকে সঙ্গে নিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন মুশফিক। ৪০ ও ২৪ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন মুশফিক ও মিঠুন।