অনলাইনঃ
দুই সিটি করপোরেশনে প্রথমবারের মতো কোনো স্থানীয় সরকার নির্বাচনের শতভাগ ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ইভিএম পদ্ধতিতে।

ভোটারদের ইভিএম পদ্ধতি সম্পর্কে সচেতন করতে প্রদর্শনীর আয়োজন করেছিল নির্বাচন কমিশন। ইভিএমে ভোটাররা তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র, স্মার্ট কার্ড ও আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে ভোট দেয়ার ফলে জালিয়াতির সুযোগ কম বলে জানান কর্মকর্তারা।

এতে একটি মেশিনে প্রায় চার হাজার পর্যন্ত ভোট দেয়া যায়। সর্বোচ্চ ৬৪ জন প্রার্থীর তালিকা থাকে। বাটন চাপ দিয়ে অক্ষরজ্ঞানহীন ব্যক্তিও ভোট দিতে পারেন। একটি ভোট দিতে আনুমানিক সময় লাগে ১৪ সেকেন্ড।

একজন ভোটারের কোনোভাবেই একটির বেশি ভোট দেয়ার সুযোগ থাকে না। সাধারণ ব্যালট পেপারের মতো কেন্দ্রে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর পক্ষে পোলিং এজেন্ট, নেতাকর্মীসহ পর্যবেক্ষকরা তো থাকবেই। মেশিনটিতে একটি পূর্ব-প্রোগ্রামিং করা মাইক্রোচিপ থাকে যা প্রতিটি ভোটের ফলাফল তাৎক্ষণিকভাবে হিসাব করে প্রদর্শন করে।

জেনে নিন যেভাবে ইভিএমে ভোট দেবেন

ভোটকেন্দ্রের নির্ধারিত কক্ষে প্রিসাইডিং অফিসার আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র বা স্মার্ট কার্ড, আঙুলের ছাপ, ভোটার নম্বর যাচাই করে ভোটার হিসেবে নিশ্চিত করবেন। এ সময় আপনার ছবি ও তথ্যাবলি একটি মনিটরে প্রদর্শিত হবে। যাতে সব প্রার্থীর এজেন্টরা আপনার পরিচয় দেখতে পারেন।

ভোট প্রদান

ভোটার হিসেবে শনাক্তকরণের পর গোপন কক্ষে থাকা ইভিএম মেশিনগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে সচল হবে। যত পদের জন্য ভোট প্রদান করতে হবে কক্ষের ভেতরে ঠিক ততটি ডিজিটাল ব্যালট ইউনিট রাখা থাকবে। এই ইউনিটে প্রার্থীদের প্রতীক বামপাশে এবং নাম ডানপাশে দেখা যাবে।

পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে তার প্রতীকের বামপাশের কালো বাটনে চাপ দিতে হবে। এ সময় প্রতীকের পাশে বাতি জ্বলে উঠবে। ভোট নিশ্চিত করতে ডানপাশের সবুজ বাটনে চাপ দিতে হবে। একই প্রক্রিয়ায় অন্যান্য পদের জন্যও ভোট প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।

কোনও কারণে আপনি ভুল প্রতীক শনাক্ত করলে সবুজ বাটন চাপ দেয়ার আগে তা সংশোধন করতে পারবেন। ভুল সংশোধনের আগে ডানপাশের লাল বাটনে চাপ দিন। এতে ভুল করে দেয়া পূর্বের ভোটটি বাতিল হয়ে যাবে। ফলে নতুন করে ভোট দেয়ার সুযোগ পাবেন। সঠিকভাবে পুনরায় প্রতীকের পাশের বাটনে চাপ দিয়ে সবুজ বাটনে চাপ দিয়ে ভোট প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।

সবুজ বাটন চাপ দেয়ার পর আপনার ভোট দেয়া প্রতীক ছাড়া বাকি সব প্রতীক অদৃশ্য হয়ে যাবে। এতে আপনি নিশ্চিত হবেন যে, ওই প্রতীকে আপনার ভোট প্রদান প্রক্রিয়া সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

এভাবেই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট দিতে হবে ভোটারদেরকে।

১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রায় ৫৫ লাখ ভোটার ভোট দেবেন ইভিএমে। স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে ইভিএম চালুর ৮ বছর পর প্রথমবারের মতো সংসদ নির্বাচনে এ প্রযুক্তি ব্যবহার হবে। ২০১০ সালের জুন মাসে স্বল্প পরিসরে চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে ইভিএম চালু হয়। ২০১৫ সালের এসে ওই ইভিএম বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তী সময় ডিজিটালাইজড সুবিধা–সংবলিত নতুন ইভিএম তৈরি করে ইসি। ২০১৬ সালে রংপুর সিটি নির্বাচনে তা চালু হয়। এর দুই বছরের মাথায় সংসদে নতুন প্রযুক্তিটি চালু হচ্ছে।

-ডিকে

FacebookTwitter

About Bangla Daily

একটি পরিপূর্ণ বাংলা অনলাইন পত্রিকা। মাতৃভাষার দেশ বাংলাদেশ থেকে সরাসরি সস্প্রচারিত হচ্ছে।

View all posts by Bangla Daily