শিক্ষাঃ
হসপিটালিটি শিক্ষা নেটওয়ার্কের সম্প্রসারণের আরেকটি ধাপ হিসাবে, ইন্ডিয়ান স্কুল অফ হসপিটালিটির সাথে কৌশলগত চুক্তির মাধ্যমে ভারতে যাত্রা শুরু করলো সোমেট এডুকেশন।
ভারতের হসপিটালিটি খাতের অভিজ্ঞ ব্যক্তিত্ব দিলিপ পুরী ও তাঁর সহযোগীদের সহায়তায় প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান ইন্ডিয়ান স্কুল অফ হসপিটালিটি (আইএসএইচ) ।
এছাড়াও সোমেট এডুকেশন আরো দুটি মর্যাদা সম্পন্ন ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের অংশীদার: ইকোল ডুকাস, বিশ্বব্যাপী কুলিনারি ও পেস্ট্রি আর্টের শিক্ষায় বিশ্বব্যাপী সমাদ্রিত একটি নাম এবং লেস রোচেস, হসপিটালিটি বিজনেস শিক্ষায় বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় একটি স্কুল।
সোমেট এডুকেশনের সিইও বেনো-ইটিয়েন ডোমেঞ্জেট এ নিয়ে বলেন “সোমেট এডুকেশন হসপিটালিটি ও কুলিনারি শিক্ষার নেটওয়ার্ককে শক্তিশালী করছে এবং এদের একটা রুপ দানে চেষ্টা করে চলছে।
যার ফলে আমরা সে সকল দেশে পৌছে যাচ্ছি যেখানে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির একটা বড় অংশ হসপিটালিটি এবং এর সাথে সম্পর্কিত খাতের সাথে যুক্ত।
আমরা আইএসএইচ এর সাথে অংশীদারিত্বের ফলে বেশ আনন্দিত। আইএসএইচ ভারতেই তাদের শিক্ষার্থীদের বিশ্বমানের হসপিটালিটি এবং কুলিনারি ম্যানেজমেন্টের শিক্ষা দিয়ে আসছে।”
হসপিটালিটি এবং সেবা খাতে ভবিষ্যত নেতৃত্বের দরকার যারা ভারতে ও ভারতের বাইরে বৈশ্বিক সুযোগগুলোকে গ্রহণ করতে প্রস্তুত। ইন্ডিয়ান স্কুল অফ হসপিটালিটি তাদের ক্যাম্পসটি পরিচালনা করছে ভারতের গুরুগাঁওয়ে (দিল্লি এনসিআর)।
ভারতে এই স্কুলকে আদর্শ হিসেবে ধরা হয় হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট, কুলিনারি আর্ট ইন্ডাস্ট্রি এবং এর সহযোগীদের মধ্যে।
আইএসএইচ স্নাতক ও স্নাতোকত্তর ডিগ্রী ছাড়াও ডিপ্লোমা এবং সার্টিফিকেট প্রোগ্রাম পরিচালনা করে থাকে।
আইএসএইচ তাদের পোর্টফোলিয়োকে আরো সমৃদ্ধ করার জন্য শিক্ষার্থীদের দিচ্ছে বিদেশে সেমিস্টার করার সুযোগ। যার ফলে ভারতে পড়া শুরু হলেও তা শেষ হবে নেটওয়ার্কের আওতাধীন অন্য ইউনিভার্সিটিতে।
এছাড়া এখানে নতুন প্রোগ্রাম যুক্ত হয়েছে যার মাঝে আছে লেস রোচেস সুইজারল্যান্ডে এমবিএ করার সুযোগ ।
আইএসএইচ এর প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও দিলিপ পুরী বলেন: “আমাদের দর্শন হলো শিক্ষার্থীদের ব্যাতিক্রমী ও মানসম্মত শিক্ষা এবং একই সাথে বৈশ্বিক কারিকুলামের সাথে সঙ্গতি রেখে বিশ্বমানের অবকাঠামো এবং বিশ্বমানের প্রযুক্তি ও শিক্ষকদের মাধ্যমে পাঠদান। সোমেট এডুকেশনের সাথে অংশীদারিত্ব আমাদের সক্ষমতাকে আরো বৃদ্ধি করবে। সেই সাথে সারা ভারত জুড়ে এবং আশে পাশের দেশগুলোতে আমাদের প্রভাব বৃদ্ধি করবে সোমেটের ৮ টি দেশের ১৮ টি ক্যাম্পাস এবং ৬০,০০০ এ্যালামনাইয়ের মাধ্যমে। সেই সাথে ভারতে বিশ্বমানের এই দুই প্রতিষ্ঠানের অংশীদারিত্বের ফলে আমরা হসপিটালিটি শিল্পের বৈশ্বিক চাহিদা পূরণে সক্ষম হবো “
একই সাথে সোমেট এডুকেশন এবং ইন্ডিয়ান স্কুল অফ হসপিটালিটি দুটো ব্র্যান্ডের ই উন্নতি ঘটাতে চায়:
ইকোল ডুকাস এর সাথে মৈত্রী চুক্তির মাধ্যমে তরুন শিক্ষার্থী এবং পেশাদারদের জন্য কুলিনারি ও পেস্ট্রি আর্টের নতুন প্রোগ্রাম নিয়ে আসা হবে। এর মাধ্যমেই ভারতে যাত্রা শুরু হবে ইকোল ডুকাস এবং এর দুই অংশীদারের। যাদের উদ্দেশ্যই হবে নেটওয়ার্ক ডেভোলাপমেন্টের মাধ্যমে আগামী ৩ বছরের মধ্যে এই অঞ্চলের কুলিনারী স্কুলের উন্নতি সাধন।
তাছাড়া সুইজারল্যান্ড, স্পেন এবং চীনের ক্যাম্পাস সহ ১৯৫৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া সুইস প্রতিষ্ঠান লেস রোচেস আইএসএইচ এর স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামগুলিকে আরও সমৃদ্ধ করবে। একাডেমিক, রিসার্চ এক্সচেঞ্জ এবং কর্মশালা ছাড়াও মিরর কারিকুলাম ও সমন্বয়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বিদেশে সেমিস্টারে অধ্যয়ন করতে সক্ষম হবে। শিক্ষার্থীরা স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামে অধ্যয়নের ক্ষেত্রে লেস রোচেস নেটওয়ার্কের অন্তর্ভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে উপকৃত হবে। শিক্ষার্থীদের লেস রোচেস এর ক্রান্স-মন্টানা, সুইজারল্যান্ড, মারবেলা, স্পেন এবং চীনের ক্যাম্পাসে পড়ার সুযোগ করে দেওয়া হবে। আইএসএইচ থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করা শিক্ষার্থীরা লেস রোচেস এর সুইজারল্যান্ড বা স্পেন ক্যাম্পাসে তাদের মাস্টার্স সম্পন্ন করার সুযোগ পাবেন। এই অঞ্চলে আরও সম্প্রসারণ বৃদ্ধি করা এই অংশীদারিত্বের পরিকল্পনার অন্তর্ভুক্ত যার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে আগামী তিন বছরের মধ্যে ভারতে আরও একটি ক্যাম্পাস সংযোজন করা হবে।
সোমেট এডুকেশনের সিইও বেনো-ইটিয়েন ডোমেঞ্জেট উপসংহারে বলেন, “আমরা বিশ্বমানের হসপিটালিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জোট সোমেট পরিবারে আইএসএইচ’কে স্বাগত জানাতে পেরে আনন্দিত। একসাথে, আমরা এই শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় বিশেষ প্রতিভাবান এবং দক্ষ জনবল গড়ে তুলতে সক্ষম হবো।
ভারত এবং প্রতিবেশী দেশগুলিতে হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট এবং রন্ধনশিল্পের আগ্রহীরা এখন আমাদের সম্মিলিত দক্ষতা ও জ্ঞান থেকে উপকৃত হবে এবং আন্তর্জাতিকভাবে তাদের ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ পাবে। এই অংশীদারিত্বের ফলে সত্যিকারের দুটি বৈশ্বিক শিক্ষা ব্র্যান্ড ইকোল ডুকাস এবং লেস রোচেস ভারতীয় ছাত্র-ছাত্রীদের তাদের অতি নিকটে নিয়ে এসেছে।”
-শিশির