অনলাইন ডেস্কঃ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমএমইউ) চিকিৎসাধীন প্রখ্যাত আলোকচিত্রী ড. শহিদুল আলমকে আবার রাজধানীর মিন্টো রোড ডিবি কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।
বিএসএমএমএমইউ’তে শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর স্বাস্থ্যগত তেমন কোনো সমস্যা না পাওয়ায় ব্যবস্থাপত্র দিয়ে তাকে ফেরত পাঠানো হয় বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
শহিদুল আলম হাসপাতালে ভর্তি করার মতো অসুস্থ নন বলে জানিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহ-আল-হারুন গণমাধ্যমকে বলেন: আমাদের মেডিকেল বোর্ড তাকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেছে। হাসপাতালে ভর্তি করার মতো অবস্থা দেখিনি।
শহিদুল আলমের স্বাস্থ্য পরীক্ষার ফলাফল বৃহস্পতিবার পাওয়া যাবে বলেও জানান বিএসএমএমইউ হাসপাতালের পরিচালক।
তথ্যপ্রযুক্তি আইনের একটি মামলায় রিমান্ডে থাকা আলোকচিত্রী ড. শহিদুল আলমকে হাইকোর্টের নির্দেশে বুধবার (০৮ আগস্ট) সকাল পৌনে ৯টার দিকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করে তার চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়।
এর আগে শহিদুল আলমকে রিমান্ড থেকে বিএসএমএমএমইউ’তে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করতে হাইকোর্টের নির্দেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করলেও নির্দেশ স্থগিত করেননি চেম্বার জজ। বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানির তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দেয়া হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার বিচারপতির আদলতে আবেদন করার পর বুধবার চেম্বার আদালত বিষয়টি বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চে শুনানির জন্য নির্ধারণ করেন।
মঙ্গলবার বিচারপতি সৈয়দ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ শহিদুল আলমকে গোয়েন্দা পুলিশের হেফাজত থেকে দ্রুত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) স্থানান্তর করে চিকিৎসা দিতে নির্দেশ দেন।
সেই সঙ্গে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটার মধ্যে সেই রিপোর্ট আদালতে দাখিল করতে বলা হয়।
এর আগে সোমবার আইসিটি আইনে গ্রেপ্তার হওয়া আলোকচিত্রী শহিদুল আলমকে ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন সিএমএম আদালত। এরপর শহিদুল আলমের রিমান্ড চ্যালেঞ্জ করে তার স্ত্রী অধ্যাপক রেহনুমা আহমেদ মঙ্গলবার হাইকোর্টে একটি রিট করা হয়।
ওই রিটে শহিদুল আলমকে গোয়েন্দা পুলিশের হেফাজত থেকে দ্রুত হাসপাতালে স্থানান্তরের নির্দেশনা চাওয়া হয়। সে রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট আদেশ দেন।
শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে ফেসবুকে ভুল তথ্য প্রচার করে জনমনে ভীতি সঞ্চার এবং রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার অভিযোগ আনে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
তিনি সম্প্রতি শিক্ষার্থী আন্দোলনের বিষয়ে একাধিকবার ফেসবুক লাইভে আসেন এবং বিদেশি টেলিভিশন আল জাজিরাকেও এই বিক্ষোভ নিয়ে সাক্ষাৎকার দেন বলে অভিযোগ করেছে পুলিশ।
রোববার দিবাগত রাতে গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে বেশ কয়েকজন যুবক তাকে তার ধানমন্ডির বাসা থেকে জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেন তার স্ত্রী রেহনুমা আহমেদ।
পুলিশের পক্ষ থেকে প্রথমে তা অস্বীকার করা হলেও পরে তাকে আটকের কথা জানায় পুলিশ।
–আরবি