অনলাইনঃ
ঘূর্ণিঝড় আম্পান আঘাত হানতে শুরু করেছে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে। পিরোজপুরে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাতে নিজের ঘরের পাকা দেয়াল ভেঙে চাপা পড়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহত ব্যক্তির নাম মজিবুর রহমান (৫৫)।

বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মঠবাড়িয়া উপজেলার মঠবাড়িয়া কলেজের পেছনে এ ঘটনা ঘটে বলে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা আজাদ হোসেন জানিয়েছেন। এ নিয়ে আম্পানের তাণ্ডবে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৫ জনে।

এর আগে পটুয়াখালীতে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রচারণার কাজ চালাতে গিয়ে পানিতে ডুবে সিপিপির টিম লিডার ও গাছের চাপায় এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আর ভোলায় মারা গেছেন দুইজন।

ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কারণে সাইক্লোন সেল্টারে লোকজনকে নিরাপদে আশ্রয় নিতে প্রচারণা কাজ চালাতে গিয়ে সকালে নৌকা ডুবে পানিতে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের সিপিপির টিম লিডার মো. শাহ আলম মারা যান। অন্যদিকে পটুয়াখালীর গলাচিপার পানপট্টি ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের খরিদা গ্রামে ঘূর্ণিঝড় আম্পানে মো রাশেদ (৫) সন্ধ্যার কিছু আগে আশ্রয় কেন্দ্রে যাবার সময় গাছের ডাল ভেঙে পড়ে নিহত হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক জনাব মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরী।

অন্যদিকে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার মানিকা ইউনিয়নের চর কচ্ছপিয়া গ্রামের সিদ্দিক ফকির (৭০) বাড়ির পাশে গাছের নিচে চাপা পড়েন। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রুহুল আমিন।

এর আগে সকালে চট্টগ্রামে শ্রমিক হিসেবে কাজ করা মোহাম্মদ রাফিকুল ইসলাম (৩৫) ফিরছিলেন। লক্ষ্মীপুরের মজু চৌধুরীর ঘট থেকে ট্রলারে করে ভোলার ইলিশা ঘাটে আসার পথে মেঘনায় ট্রলার উল্টে নিহত হন তিনি। লকডাউন অমান্য করার কারণে পরিবারের লোকজন তার মৃত্যুর ঘটনা শুরুতে গোপন রাখেন।

বুরহান উদ্দিন থাকার ওসি এনামুল হক জানান, নিহতের লাশ বিকালে তার বাড়ি হাসান নগর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডে আনার পর পুলিশ ঘটনাটি জানতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক সামছুদ্দীন আহমেদ বলেন, বিকেল চারটা থেকে রাত আটটার মধ্যে আম্পান বাংলাদেশের সাতক্ষীরা, খুলনা অঞ্চল অতিক্রম করবে। এ সময় বাতাসের গতিবেগ ক্রমান্বয়ে কমতে থাকবে।

এর আগে, আবহাওয়া দপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এ পর্যন্ত জেলায় ৭৫৩টি সাইক্লোন সেল্টারে সারে ৩ লাখ মানুষসহ ৮০ হাজার গবাদিপশু আশ্রয় নিয়েছে। বিকেল থেকে পটুয়াখালীর বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চল থেকে সাধারণ মানুষদের ট্রলারযোগে মূল ভূখণ্ডে সরিয়ে নেয় প্রশাসন।

-ডিকে

FacebookTwitter

About Bangla Daily

একটি পরিপূর্ণ বাংলা অনলাইন পত্রিকা। মাতৃভাষার দেশ বাংলাদেশ থেকে সরাসরি সস্প্রচারিত হচ্ছে।

View all posts by Bangla Daily