প্রধানমন্ত্রী হাত বাড়ালেন সেই খুকির স্বপ্ন পূরনে
জাতীয়ঃ
“আমি পেপারটা বিক্রি করে খাবো, কিছু চাবো না ভাই” একটি টেলিভিশনে এই কথাই বলেছিলেন রাজশাহীর একমাত্র নারী পত্রিকা হকার দিল আফরোজ খুকি। সেই খুুুুকির দুর্দশা লাঘবে এগিয়ে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী। এটি শুনে ঐ হকারের স্বপ্ন সত্যে পরিণত হয়েছে।
৬০ বছর বয়সী এই হকারের নাম দিল আফরোজ খুকী। তিনি গত ৩০ বছর ধরে সংবাদপত্র বিক্রয় করে আসছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে স্থানীয় জেলা প্রশাসন দিল আফরোজ খুকীর দায়িত্ব গ্রহণ করেছে।
রাজশাহী শহরে খুকীই একমাত্র মহিলা, যিনি দীর্ঘদিন ধরে সংবাদপত্র বিক্রি করে আসছেন।
রাজশাহীর জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল বলেন, ‘আমি আজ তার বাড়িতে গিয়েছি এবং সেটি মেরামত ও সংস্কারের পদক্ষেপ নিয়েছি।’ তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুকীর দায়-দায়িত্ব নেয়ার জন্য তাকে নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে সে আগামী দিনগুলোতে সুষ্ঠুভাবে জীবন-যাপন করতে পারে।
আবদুল জলিল বলেন, জেলা প্রশাসন ইতোমধ্যে বাড়িটি পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করতে শ্রমিক নিয়োগ করেছে। তিনি আরো বলেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমও নতুন কাপড়সহ তার জন্য উপহার সামগ্রী পাঠিয়েছেন।
দিল আফরোজ খুকী রাজশাহী শহরের সেরোইল এলাকায় বসবাস করেন। তিনি তার বাড়ির কাছের এজেন্টের কাছ থেকে পত্রিকা ক্রয় করেন এবং শহরের রাস্তায় হেঁটে হেঁটে তা বিক্রি করেন।
প্রায় ৩০ বছর ধরে তিনি এই কাজ করে আসছেন। স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, ৭ বোন ও ৫ ভাইয়ের মধ্যে খুকী হচ্ছেন দশম।
একজন নিম্ন আয়ের নারী পেপার হকার খুকির দৈনিক আয় ৩০০ টাকা। তার এ আয় থেকে তিনি খরচ করেনঃ
১/ নিজের জন্য -৪০-টাকা
২/ এতিম খানায় -১০০-টাকা
৩/ মসজিদ ও মন্দিরে -৫০-টাকা
৪/ হজ্বে যাওয়ার জন্য -১০০-টাকা
খুকি জীবনের কিছু বাস্তব মূখী পদক্ষেপ নিয়েছেন, গরীব মহিলাদের সেলাই মেশিন দিয়েছেন ৬টি, বিধবা মহিলাদেরকে গাভীন গরু দিয়েছেন ৩টি।
১৯৮০’র দশকে তিনি টাঙ্গাইলের ভারতেস্বরী হোমস স্কুলে ছিলেন এবং তখন বিয়ে করেন। পরে অল্প বয়সে তিনি বিধবা হয়ে যান। স্বামীর মৃত্যুর পর খুকী আর বিয়ে না করার সিদ্ধান্ত নেন। খুকি ১৯৯১ সালে রাজশাহীর সাপ্তাহিক দুনিয়া বিক্রির মাধ্যমে সংবাদপত্র হকারের কাজ শুরু করেন।
-বাসস