অনলাইনঃ
প্লট চেয়ে গৃহায়ন মন্ত্রীর কাছে চিঠি দিয়ে ফের আলোচনায় আসা সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা বলছেন, ‘আমার চিঠি বৈধ, কিন্তু এই সরকার অবৈধ।’
রুমিন ফারাহানার চিঠি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর রবিবার (২৫ আগস্ট) বিকেলে এক অলাইন সংবাদ মাধ্যমকে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে গত ৩ আগস্ট সংসদ সদস্যের প্যাডে ১০ কাঠার একটি প্লটের জন্য আবেদন করেন রুমিন।
রুমিন ফারহানা বলেন, ‘যেই চিঠিটা ভাইরাল হয়েছে সেটা অবৈধ নয়, অনৈতিকও নয়। কারণ, ‘কজন সংসদ সদস্য প্লটের জন্য আবেদন করতে পারেন, একটি ট্যাক্স ফ্রি গাড়ি আনতে পারেন, বেতন-ভাতা পান এবং পাঁচ বছরের জন্য একটা অ্যাপার্টমেন্ট পান। এই চারটি জিনিস হচ্ছে তার রাষ্ট্রীয় অধিকার। যিনিই সংসদ সদস্য হবেন তিনিই এই চারটি সুযোগ পাবেন। সে সুবাদে অন্য সংসদ সদস্যদের মতো আমিও আবেদন করেছি। আমি একা নই, প্রায় সব সংসদ সদস্যই করেছেন।’
‘এখন আমরা প্রশ্ন হল, প্রায় সাড়ে ৩০০ সংসদ সদস্য আবেদনপত্র জমা দিল, আর ভাইরাল হলো কেবল আমার চিঠি। চিঠিটা মন্ত্রণালয়ের থেকে বের হলো কীভাবে?- বলেন রুমিন ফারাহানা।
তিনি বলেন, ‘এই সরকার আমাদের ফোনে আঁড়ি পাতে, ফেসবুক হ্যাকড করে, এই সরকার আমাদের গোপন নথি ইচ্ছা করে প্রকাশ করে। সরকারের বিরুদ্ধে কথা বললে, সরকারের কাজের সমালোচনা করলে, সরকারকে তোষামদ না করলে, তিনি সংসদ সদস্য হোন বা সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তি হোন অথবা সুশীল সমাজের প্রতিনিধি হোন, যেভাবেই হোক এই সরকার তাকে হেনস্তা করবে।’
রুমিন ফারাহানার প্রশ্ন- ‘চিঠিটা কি অবৈধ? কোন আইনে অবৈধ? এটা কি অনৈতিক? কোন আইনে অনৈতিক?। এটা তো রাষ্ট্রীয় চিঠি। আমি তো সরকারের কাছ থেকে কিচ্ছুই চাইনি। আমার বেতনটা যেমন রাষ্ট্রীয়, আমার এই আবেদনটাও তেমনি রাষ্ট্রীয়। আমার এই রাষ্ট্রীয় নথি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এলো কীভাবে?’
তিনি বলেন, ‘আমি এই সরকারের কাছ থেকে এক ইঞ্চি জমিও আশা করি না। এটা একটা প্রসিডিউর, একটা ফরমালিটিজ— যা সব সংসদ সদস্য করেছেন, আমিও করেছি। অবশ্য, এই চিঠি আমি নিজে ড্রাফট করিনি। আমার পিএস ড্রাফট করে জমা দিয়েছেন।’
সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের শুল্কমুক্ত গাড়ি আনার বিষয়টি আড়াল করতেই ওই চিঠি ভাইরাল করা হয়েছে অভিযোগ করে রুমিন ফারহানা বলেন, ‘কোনো পদে না থেকেও দুইদিন আগে সাবেক অর্ধমন্ত্রী শুল্কমুক্ত গাড়ি এনেছেন।
সরকার তার সেই নোংরামি চাপা দেওয়ার জন্য বৈধ চিঠি পাবলিক করেছে। সরকারের মদদ না থাকলে একটা সরকারি নথি পাবলিক হয় না।’
তিনি ফের বলেন, ‘আগেও বলেছি, এখনও বলছি, এই সরকার অবৈধ, সম্পূর্ণ অবৈধ। জনগণের ভোট ছাড়া নির্বাচিত সরকার। সব বিচারেই এই সরকার অবৈধ। আমি সরকারের কাছে কোনো কিছু চাইনি। একজন সংসদ সদস্য হিসেবে আমি রাষ্ট্রীয় সুযোগ চেয়েছি। সুতরাং আমরা চিঠি বৈধ, সরকার অবৈধ।’
কেএম