অনলাইনঃ

রিফাত শরীফ হত্যা মামলার অন্যতম আসামি রিফাত ফরাজীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুনরায় সাতদিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেছে আদালত।

বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলার এজহারভুক্ত ২নং আসামি রিফাত ফরাজী। অন্য একটি অশ্ত্র মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বরগুনা জেলা বিচারিক হাকিম আদালতে পুলিশের রিমান্ড আবেদনের প্রেক্ষিতে এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

আদালত ও পুলিশ সূত্রমতে, রিফাত শরীফ হত্যা মামলার প্রধান আসামি সাব্বির আহম্মেদ ওরফে নয়ন বন্ড ২ জুলাই রাতে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মারা যাওয়ার পর ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি বিদেশি পিস্তল ও বেশ কিছু গুলি উদ্ধার করে। অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে বরগুনা থানায় অস্ত্র আইনে একটি মামলা করে। ওই মামলায় রিফাত ফরাজীকেও আসামি করা হয়েছে। ওই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গতকাল সন্ধ্যায় বরগুনার বিচারিক হাকিম আদালতে রিফাত ফরাজীকে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও বরগুনা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইয়াকুব হোসেন। পরে আদালতের বিচারক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজী তাঁর সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রিফাত শরীফ হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও বরগুনা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হুমায়ুন কবির বলেন, ২ জুলাই নয়ন বন্ড পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি হত্যা ও একটি অস্ত্র আইনের মামলা করে।

ওই দুটি মামলায় রিফাত ফরাজীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এর মধ্যে পুলিশের করা অস্ত্র মামলায় রিফাত ফরাজীকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। পরে আদালত সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

আলোচিত এই হত্যা মামলার দুই নম্বর আসামি রিফাত ফরাজীকে ৩ জুলাই পুলিশ গ্রেপ্তার করে। ওই দিনই রিফাত ফরাজীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়েছিল পুলিশ।

পরে বিচারক সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন।

গতকাল সোমবার রিফাতের সাত দিনের রিমান্ডের শেষ দিনে তাঁর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী বরগুনা সরকারি কলেজের কলা ভবনের পেছনের একটি পরিত্যক্ত ডোবা থেকে হত্যায় ব্যবহৃত রামদাটি উদ্ধার করা হয়।

উল্লেখ্য যে, গত ২৬ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের মূল ফটকের সামনের রাস্তায় স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির সামনে কুপিয়ে জখম করা হয় রিফাত শরীফকে। ওই দিন বেলা তিনটার দিকে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রিফাত শরীফের মৃত্যু হয়। পরের দিন এই ঘটনায় রিফাত শরীফের বাবা আবদুল হালিম শরীফ বাদী হয়ে বরগুনা থানায় ১২ জনের নামে এবং কয়েকজনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি মামলা করেন।

FacebookTwitter

About Bangla Daily

একটি পরিপূর্ণ বাংলা অনলাইন পত্রিকা। মাতৃভাষার দেশ বাংলাদেশ থেকে সরাসরি সস্প্রচারিত হচ্ছে।

View all posts by Bangla Daily