আন্তর্জাতিকঃ
বিধানসভা ভোটে তৃণমলকে বিপুল সমর্থন জানিয়েছে আদিবাসীরা। তারপর এই প্রথমবার ঝাড়গ্রাম সফরে গেলেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।
সোমবার সেখানে বিশ্ব আদিবাসী দিবসের সূচনা করেন তিনি। খবর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের।
মুখ্যমন্ত্রীকে ঐতিহ্যবাহী পাঞ্চি শাড়ি পরিয়ে স্বাগত জানায় মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। সেই শাড়ি পরেই আদিবাসী নৃত্যের তালে পা মেলান মমতা।
একইসঙ্গে ধামসা মাদলের তালে তালে আদিবাসী নারীদের সঙ্গে পা মেলালেন তিনি। ঝাড়গ্রাম স্টেডিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠান মঞ্চে না উঠে, প্রথমে আদিবাসী নৃত্যের তালে মেতে ওঠেন তিনি। নিজের স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে তাঁদের সঙ্গে মিশে যান মমতা।
আদিবাসী গান মন দিয়ে শোনেন মমতা। এরপর হাতে তুলে নেন ধামসার কাঠি। নিজেই বাজান ধামসা। ধামসার পর ঝুমুর হাতে নেন মুখ্যমন্ত্রী। আদিবাসী সমাজের বীর শহিদ সিধু-কানহুর ছবিতে শ্রদ্ধা জানান মমতা। অনুষ্ঠানে আদিবাসীদের সম্প্রদায়ের কৃতী মানুষের সংবর্ধনা দেন তিনি।
এদিনের অনুষ্ঠানে সবুজ সাথী, কন্যাশ্রী, জয় জোহর প্রকল্পের আওতায় ১৯ জনের হাতে প্রসংশাপত্রও তুলে দেন মমতা। এছাড়া মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক কৃতী ১৩ জনকে সংবর্ধনা দেয়া হয়। বিভিন্ন কাজে নজির গড়ার জন্য জেলার ১৭ জনকে সংবর্ধনাও দেন তিনি।
এদিন আদিবাসীদের অধিকার রক্ষার ডাক দেন মমতা। তিনি দাবি করেন, আদিবাসীদের জমি হস্তান্তর ঠেকাতে আমাদের সরকার আইন চালু করেছে। সারা দেশে আদিবাসীদের অধিকারে এই আইন চালু করা উচিত। আদিবাসীদের জন্য আলাদা দপ্তর তৈরি করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা ধর্মে-ধর্মে, মানুষে-মানুষে ভাগ করি না। সবাই আমরা একসঙ্গে কাজ করি। আপনারা ভালো থাকলে, আমি ভালো থাকবো। আপনাদের কখনও কিছু অসুবিধা হলে আমাকে বলবেন, আমি দেখে নেবো। কিন্তু আমাকে দয়া করে ভুল বুঝবেন না। আপনারা আমাদের অনেক আশীর্বাদ দিয়েছেন।
-ডিকে