আইন আদালতঃ
রাজধানীর আগারগাঁও এলাকায় সরকারি অফিসের আধিক্যের কারণে সরকারি গাড়িও বেশি। একটি সংঘবদ্ধ চক্র দীর্ঘদিন যাবত এই সুবিধা কাজে লাগিয়ে উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তাদের গাড়ি থেকে গাড়ি চালকদের সহযোগিতায় দৈনিক ৩-৪ লিটার করে তেল চুরি করতো।
এই চোরাই তেলে চলতো দোকান। এক একটি দোকান দিনে গড়ে ২০০ লিটার চোরাই তেল কিনতো। মাসে প্রায় ৬ হাজার লিটার। এই সংঘবদ্ধ চক্রের সাথে সরকারি কর্মকর্তাদের গাড়িচালকও জড়িত।
১০ আগস্ট’ ২০২২ বুধবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁও এলাকা থেকে উচ্চ পদসথ সরকারী কর্মকর্তাদের অফিসিয়াল গাড়ির জ্বালানি তেল চুরি চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করেছে শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশ।
তেজগাঁও জোনের এসি মাহমুদ খান এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন।
এ সময় গ্রেফতারকৃতদের হেফাজত থেকে প্রায় ৬০০ লিটার অকটেন ও পেট্রোল উদ্ধার করে করা হয়। এই চক্রের অন্যান্য সদস্যদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
এ বিষয়ে তেজগাঁও বিভাগের ডিসি এইচ. এম আজিমুল হক পিপিএম-সেবা জানান, ‘এই সংঘবদ্ধ চক্র কতৃক পরিচালিত দোকানগুলো সরকারী কর্মকর্তাদের অফিসিয়াল গাড়ির চালকদের কাছ থেকে প্রতি লিটার অকটেন ১০০ টাকায় কিনতো।
এরপর খোলাবাজারে ১২৮ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি করতো। প্রতি লিটার পেট্রোল ১১০ টাকায় কিনে ১৩০ টাকা এবং প্রতি লিটার ডিজেল ১০০ টাকায় কিনে ১০৮ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি করতো’।
এই চক্রের সাথে জড়িত সরকারী কর্মকর্তাদের গাড়ি চালকদের বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
পাশাপাশি যে সরকারি কর্মকর্তাদের গাড়িচালক এই তেল চুরি চক্রের সঙ্গে জড়িত তাদেরকেও বিষয়টি জানানো হবে বলে ডিসি এইচ. এম আজিমুল হক পিপিএম-সেবা উল্লেখ করেছেন।
-সূত্র: ডিসি তেজগাঁও জোন
এরাতো তেল চুরি করে নাই, এরা তেল কিনছে বরং যেসব সরকারি গাড়ির ড্রাইভার গাড়ির ট্যাংকি থেকে তেল চুরি করে ওদের কাছে বিক্রি করে ওদেরকে আইনের আওতায় আনা হোক, তাহলে সরকারি গাড়ির তেল চুরি নির্মূল করা সম্ভব