অনলাইনঃ
ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম কমে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বাণিজ্য সচিব ড. জাফর উদ্দিন।
তখন দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজ ছাড়াও আরো কয়েকটি দেশ থেকে আসা পেঁয়াজ বাজারে চলে আসার উল্লেখ করে তিনি এমন কথা জানান।
গতকাল ১৪ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার বার্তা সংস্থা ইউএনবিকে ফোনে সচিব বলেন, ‘আমাদের দেশীয় পেঁয়াজ যেটি বাজারে আসার কথা ছিল সেটি ২০/২৫ দিন পরে আসবে। এছাড়া মিয়ানমার থেকে ১ হাজার মেট্রিকটন পেঁয়াজ আসার কথা ছিল, কিন্তু আসবে ৪০০ টন। যার ফলে বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাচ্ছে।’
ড. জাফর উদ্দিন বলেন, ‘ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম কমে আসবে। তখন বাজারে আমাদের নিজস্ব পেঁয়াজ চলে আসবে। তাছাড়া সিটি গ্রুপ, মেঘনা গ্রুপসহ কিছু কোম্পানি তুরস্ক ও মিশর থেকে পেঁয়াজ আমদানি করছে। সিঙ্গাপুর পর্যন্ত পেঁয়াজ চলে এসেছে। বাংলাদেশে পৌঁছাতে আরো সপ্তাহখানেক সময় লাগবে।’
আমদানি হতে যাওয়া পেঁয়াজের পরিমাণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘২০ হাজার মেট্রিকটন। এছাড়াও এস আলম গ্রুপ তুরস্ক থেকে আরো ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি করবে।’
সচিব আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘সব মিলিয়ে বেসরকারিভাবে আমদানিসহ আমাদের উৎপাদিত পেঁয়াজ মিলে বাজারে আসলে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে দাম কমে আসবে এবং বাজার স্থিতিশীল পর্যায়ে থাকবে।’
এদিকে বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরকার সর্বাত্মক চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছেন টিসিবির তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির। তার বরাত দিয়ে ইউএনবি জানিয়েছে, বর্তমানে প্রতিদিন ঢাকায় ৩৫টি ট্রাকে করে ৪৫ টাকা কেজি করে পেঁয়াজ দেয়া হচ্ছে। প্রতি ট্রাকে ১০০০ কেজি পেঁয়াজ দেওয়া হচ্ছে। এই সরবরাহ যাতে থেমে না যায় সেই চেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছে টিসিবি।