অনলাইনঃ
প্রধানমন্ত্রীর তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা বিশ্বাস করেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সর্বোচ্চ ২২০ আসনে জয় পেতে যাচ্ছে।
রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের (আরডিসি) এক জরিপের ফলাফলে এই পূর্বাভাস এসেছে বলে বৃহস্পতিবার এক ফেইসবুক পোস্টে জানিয়েছেন জয়।
জয় লিখেছেন, এই জরিপগুলোর ওপর ভিত্তি করে এবং ১৯৯১-২০০৮ এর নির্বাচনের তথ্য বিশ্লেষণ করার পর আমার বিশ্বাস যে, আওয়ামী লীগ এই নির্বাচনে ১৬৮ থেকে ২২০টি আসনে জয়লাভ করবে।
বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর বর্জনে ২০১৪ বাংলাদেশে ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ১৫৩টিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন একক প্রার্থীরা।
এ নির্বাচনে সব মিলিয়ে ২৩২টি আসনে জয় পেয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মত সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। জাতীয় পার্টি ৩৩টি, ওয়াকার্স পার্টি ছয়টি, জাসদ পাঁচটি, জেপি একটি, তরিকত ফেডারেশন একটি, বিএনএফ একটি এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ১৩টি আসনে জয় পান।
জয় বলছেন, আরডিসির জরিপে ৬৬ শতাংশ উত্তরদাতা এবার আওয়ামী লীগের প্রতি আস্থা রাখার কথা বলেছেন। এর ভিত্তিতে তিনি আশা করছেন, আগামী ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয় ২০০৮ সালের নির্বাচনকেও ছড়িয়ে যাবে।
তিনি লিখেছেন, ১৯৯১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত সকল নির্বাচনের ফলাফল দেখে ওই ৫১টি আসন বেছে নেওয়া হয়েছে। এই আসনগুলোর ভোটারদের মধ্যে একেক নির্বাচনে একেক দলের প্রার্থীদের জয়ী করার প্রবণতা বেশি। আর বিজয়ী প্রার্থীর সঙ্গে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর ভোটের পার্থক্যও থাকে কম। এই আসনগুলো নিয়েই আওয়ামী লীগ ‘সবচেয়ে বেশি চিন্তিত ছিল।
যেহেতু জরিপটি মনোনয়ন প্রক্রিয়ার আগে করা হয়েছিল, সেহেতু আমরা প্রার্থীদের ব্যাপারে জনমত জানতে পারিনি। কিন্তু দলগতভাবে, ৫১টি আসনেই আওয়ামী লীগ এগিয়ে আছে।
তিনি আরও লিখেছেন, ১২.২ শতাংশ নিয়ে সবচেয়ে কম ব্যবধানে জয়ের সম্ভাবনা জয়পুরহাট-১ আসনে আর ৭৫ শতাংশ নিয়ে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয়ের সম্ভাবনা বরিশাল-৪ আসনে।
যারা এখনো সিদ্ধান্ত নেননি তাদের সবচেয়ে কম সংখ্যা দেখা যাচ্ছে টাঙ্গাইল-৩ আসনে, ২.৫ শতাংশ। এই আসনে আওয়ামী লীগের সাথে নিকটবর্তী দলের ব্যবধান ৪১.৫ শতাংশ। অন্যদিকে, ১৯.৮ শতাংশ নিয়ে সবচেয়ে বেশি সিদ্ধান্তহীনদের সংখ্যা সাতক্ষীরা-৩ আসনে, যেখানেও আওয়ামী লীগের জয়লাভের ব্যবধান ৬৪.৭ শতাংশ।
গড়ে আওয়ামী লীগের জন্য সমর্থন ৬৬ শতাংশ মানুষের, বিএনপির জন্য ১৯.৯ শতাংশ আর ৮.৬ শতাংশ ভোটার সিদ্ধান্ত নেননি। যারা সিদ্ধান্ত নেননি তাদের থেকে আওয়ামী লীগের সমর্থনের ব্যবধান অনেক বেশি। আরো গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি তা হচ্ছে কোনো আসনেই আওয়ামী লীগের সাথে বিএনপির সমর্থনের পার্থক্য ১০ শতাংশের এর মধ্যে নেই। শুধু ২টি আসনেই আওয়ামী লীগের সাথে বিএনপির সমর্থনের পার্থক্য ২০ শতাংশ। এর মধ্যে ২৮টি তে, অর্থাৎ অর্ধেকের বেশি জরিপকৃত আসনে, আওয়ামী লীগের সাথে বিএনপির সমর্থনের পার্থক্য ৫০ শতাংশের বেশি। সমর্থনের পার্থক্য ১০ শতাংশের এর বেশি হলেই দ্বিতীয় দলটির জন্য তা পার করা মোটামুটি অসম্ভব হয়ে যায়, আর ২০ শতাংশ এর বেশি পার্থক্য থাকলে একাধিক ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের দ্বারাও তা টপকানো সম্ভব হয় না।
এই ফলাফল গুলো বয়স ও লিঙ্গের ওপর নির্ভর করে বের করা হয়েছে, তাই মোট ফলাফল সর্বক্ষেত্রে শতভাগ নয়। আসন অনুযায়ী ‘মার্জিন অফ এরর’ ৩ শতাংশ এবং আস্থা স্তর বা Confidence Level ৯৫%। সম্পূর্ণ ৫১,০০০ স্যাম্পল এর ‘মার্জিন অফ এরর’ ০ শতাংশ এবং আস্থা স্তর বা Confidence Level ৯৫%। এই জরিপগুলোর ওপর ভিত্তি করে এবং ১৯৯১-২০০৮ এর নির্বাচনের তথ্য বিশ্লেষণ করার পর আমার বিশ্বাস যে, আওয়ামী লীগ এই নির্বাচনে ১৬৮ থেকে ২২০ টি আসনে জয়লাভ করবে। ২০০৮ সালের নির্বাচনের চেয়েও বেশি ব্যবধানে এবার আওয়ামী লীগ জয়লাভ করবে।
-আরবি