‘আউটস্ট্যান্ডিং সিইও’ অ্যাওয়ার্ড পেলেন আইপিডিসি’র কর্ণধার মমিনুল ইসলাম

অনলাইনঃ

১৯৮১ সালে প্রতিষ্ঠিত দেশের প্রথম বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেড-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও মমিনুল ইসলাম অ্যাডফিয়াপ (দ্য অ্যাসোসিয়েশন অব ডেভেলপমেন্ট ফাইন্যান্সিং ইনস্টিটিউশন ইন এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক) প্রদত্ত ‘আউটস্ট্যান্ডিং সিইও অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন করেছেন। ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ তারিখ ওমানের মাসকাটে অবস্থিত শেরাটন ওমান হোটেলে আয়োজিত একটি অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে মমিনুল ইসলাম’কে অ্যাডফিয়াপ ২০১৯-এর ‘আউটস্ট্যান্ডিং সিইও’ ঘোষণা করা হয়। অ্যাডফিয়াপ-এর ‘আউটস্ট্যান্ডিং সিইও’ অ্যাওয়ার্ডটি ডেভেলপমেন্ট ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনসমূহের (ডিআইএফ’স) প্রগতিশীল প্রধানদের নিজ নিজ দেশে দায়িত্বরত প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখার স্বীকৃতি প্রদান করে থাকে।

১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত অ্যাডফিয়াপ, এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের উন্নয়ন অর্থায়নের সাথে স¤পৃক্ত ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকসমূহ এবং অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠনসমূহের জন্য সর্ববৃহৎ ও সর্বাধিক সম্মানজনক স্বীকৃতি। অ্যাডফিয়াপ-এর ৩৬টি দেশে ৯১ সদস্য আছে, যার মধ্যে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) হলো বিশেষ সদস্য। এডিবি আফ্রিকা, ইউরোপ, ল্যাটিন আমেরিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের একই সমিতির সমন্বয়ে গঠিত ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন অব ডেভেলপমেন্ট ফাইন্যান্সিং ইনস্টিটিউশন্স-এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং জাতিসংঘের ইকোনোমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কাউন্সিলের সাথে পরামর্শ প্রদানের ক্ষেত্রে একটি বেসরকারী সংস্থা। অ্যাডফিয়াপ-এর স্থায়ী সচিবালয় ফিলিপাইনের ম্যানিলায় অবস্থিত।

মমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে আইপিডিসি’র স¤পদ ৪,৩২৫ মিলিয়ন টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৪৪,৩২৫ মিলিয়ন টাকা। আয় বৃদ্ধি পেয়ে ২৬৬ মিলিয়ন টাকা থেকে ১,৮৭৫ মিলিয়ন টাকা হয়েছে, জনস¤পদ বেড়ে ৯৫ থেকে হয়েছে ৫৯৯ এবং সর্বোপরি নন-পারফর্মিং লোন (এনপিএল) ১৩.০৪% থেকে কমে নেমে এসেছে ২.১৪%-এ। দেশের আর্থিক খাতের সর্বকনিষ্ঠ সিইও হিসেবে তিনি আইপিডিসি’র সংকটময় অবস্থান পরিবর্তন করে দেশের অন্যতম নন-ব্যাংকিং ফাইন্যান্সিয়াল ইন্সটিটিউশনে (এনবিএফআই) পরিণত করেছেন। ২০১১ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত তার অধীনে আইপিডিসি ব্যবসা সম্প্রসারণ এবং সর্বাধিক এনপিএল হারের প্রতিষ্ঠানগুলোর তালিকা থেকে সর্বিনি¤œ এনপিএল হারের প্রতিষ্ঠানসমূহের তালিকাভুক্ত হওয়ার মাধ্যমে ব্যাপক অগ্রগতি সাধন করেছে। এতসব অর্জন প্রতিষ্ঠানটিকে রিব্র্যান্ডিং করতে সক্ষম করেছে। আইপিডিসি বর্তমানে দেশের অন্যতম শীর্ষ ফাইন্যান্সিয়াল ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়া এবং মানুষের জীবনযাপনকে উচ্ছ্বাসময় করে তোলার লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে।

তার তত্ত্বাবধানে আইপিডিসি এএএ রেটিং, অ্যাডফিয়াপ-এর বেস্ট সিএসআর অ্যাওয়ার্ড, সাফা অ্যান্ড আইসিএবি-এর বেস্ট প্রেজেন্টেড অ্যানুয়াল রিপোর্ট অ্যাওয়ার্ড, আইএফএ কর্তৃক দ্য বেস্ট রিটেইল ফাইন্যান্স কো¤পানি অব বাংলাদেশ অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছে এবং সর্বোপরি দেশের একমাত্র এনবিএফআই হিসেবে ‘সুপারব্র্যান্ড’-এর স্বীকৃতি পেয়েছে।

এই অর্জন প্রসঙ্গে আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেড-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও মমিনুল ইসলাম বলেন, “নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার ক্ষুধা মেটাতে, আমি স¤পূর্ণ নতুন একটি পরিবেশে চেঞ্জ এজেন্ট হিসেবে কাজ করতে প্রলুব্ধ ছিলাম। আইপিডিসি’তে যোগ দেওয়ার পর থেকেই অনেক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হলেও, বিভিন্ন পথে আমি এখনও এখানে আশা ও সম্ভাবনা খুঁজে পাই। যার কারণে বর্তমানে আইপিডিসি বাংলাদেশের শক্তিশালী এনবিএফআই’গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি। আমার জন্য এটি অবশ্যই অনন্য এক অর্জন এবং আমি গর্বের সাথে বলতে চাই যে, আমার টিম ও আমাকে দেওয়া সুযোগগুলো ব্যতীত আমার আজকের এই অর্জন কখনোই সম্ভব হতো না”।

এসকল ব্যবসায়িক খবরের মধ্যে, আইপিডিসি সমাজের সুবিধাবঞ্চিতদের জীবনে আনন্দের চিত্রকল্প এঁকেছে। বগুড়ার একটি প্রত্যন্ত চরে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা বা নারীর জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের জন্য টেইলার্স তৈরি করে দেওয়া- এসবই তার উদাহরণ। এমডি ও সিইও হিসেবে মমিনুল ইসলাম-এর দায়িত্ব পালনের সময়কালে আইপিডিসি সাফল্যের স্বীমারেখা পেরিয়ে এগিয়ে গেছে অনেক দূর।

-এসএম

FacebookTwitter