অসুস্থ ব্যক্তিকে চিকিৎসায় অসম্মতি জানাতে পারবে না

অসুস্থ ব্যক্তিকে চিকিৎসায় অসম্মতি জানাতে পারবে না
অসুস্থ ব্যক্তিকে চিকিৎসায় অসম্মতি জানাতে পারবে না

স্বাস্থ্যঃ

কোনো অসুস্থ ব্যক্তি যখনই হাসপাতালে যাবেন তখন তাকে তাৎক্ষণিক জরুরি চিকিৎসা প্রদানে হাসাপাতাল কর্তৃপক্ষ অসম্মতি জানাতে পারবে না।

রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) এ সংক্রান্ত একটি রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে এ আদেশ দেন হাইকোর্ট।

একই সঙ্গে দেশের সব সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলো জরুরি চিকিৎসাসেবা দিতে অসম্মতি জ্ঞাপন কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।

এ মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১৮ জানুয়ারি দিন নির্ধারণ করেছেন বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম, শারমিন আক্তার ও খন্দকার নিলীমা ইয়াসমিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস।

আদালত তার আদেশে বলেছেন, ‘কোনো অসুস্থ ব্যক্তিকে যখনই হাসপাতাল বা ক্লিনিক অথবা চিকিৎসকের কাছে আনা হয়, ওই অসুস্থ ব্যক্তির তাৎক্ষণিক জরুরি স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অসম্মতি জ্ঞাপন করতে পারবে না।

যদি কোনও হাসপাতাল বা ক্লিনিকে এরূপ জরুরি স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের ব্যবস্থা না থাকে, সেক্ষেত্রে জরুরি সেবাগুলো বিদ্যমান রয়েছে এমন নিকটস্থ কোনও হাসপাতালে ওই ব্যক্তিকে পাঠাতে হবে।’

এ বিষয়ে আইনজীবী ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম গণমাধ্যমকে বলেন, আজকের আদেশের ফলে জরুরি চিকিৎসাসেবা দিতে বাধ্য থাকবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

এছাড়া সব সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের তালিকা, তার মধ্যে যেগুলোর জরুরি চিকিৎসাসেবা বিভাগ রয়েছে সেগুলোর পৃথক তালিকা করতে বলা হয়েছে।

একই সঙ্গে আগামী তিন মাসের মধ্যে হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহের জরুরি চিকিৎসা বিভাগের বর্তমান অবস্থার বিবরণসহ তালিকা জমা দিতে বলেছেন আদালত।

এর আগে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট) এবং অ্যাকাডেমি অব ল অ্যান্ড পলিসি (আলাপ) নামে দুটি সংগঠন জরুরি স্বাস্থ্যসেবা না পাওয়ার বিষয়ে জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে হাইকোর্টে এ রিট দায়ের করে।

এতে বিবাদী করা হয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের (ডিজিএইচএস) মহাসচিব, বাংলাদেশ মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ও বাংলাদেশ প্রাইভেট হাসপাতাল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্টকে।

FacebookTwitter