শাহিনুর নার্গিসঃ
যে শিক্ষকের যোগফল নিয়ে ফেসবুক সরগরম সেটা দেখলাম তৃতীয় শ্রেণীর অংক।না আমি অংকের ভুল নিয়ে কথা বলতে আসিনি। আমি শ্রেণী নিয়ে কথা বলতে এসেছি। তৃতীয় শ্রেণীর অনলাইন ক্লাশ বিষয়টা আমাকে অবাক নয় হতবাক করেছে। তৃতীয় শ্রেণীর একজন বাচ্চা এক বছর না পড়লে দেশের শিক্ষা ব্যবস্হার বা অর্থনীতির এমন কি ক্ষতি হয়ে যাবে?
ফাজলামির একটা সীমা থাকে। বাচ্চাদের মোবাইল দিতে মানা করবে আবার মোবাইলেই পড়তে বলবে হাস্যকর। এই শ্রেণীর বাচ্চার কাছে মোবাইল মানেই একটা স্রেফ গেমস খেলার যন্ত্র মাত্র। ৫ম,৮ম & ৯ম,১০ম হলেও কথা ছিলো।
সমাপনী পরীক্ষার ক্লাশ বাদে সব অনলাইন ক্লাশ বন্ধ করার অনুরোধ করছি সরকারের কাছে।আমি সকল সমাপনী পরীক্ষা ও এবার উঠিয়ে দিতাম।পরিস্হিতি দেখে এমন কি আটো পাশও দিয়ে দিতাম। আগের শ্রেণীতে যার রোল যত ছিলো ঠিক ঐভাবেই পরবর্তী ক্লাশে উঠিয়ে দিতাম। শিক্ষা যদি সবার অধিকার হয় তাহলে অনলাইনের শিক্ষা ও সবার অধিকার হওয়া উচিৎ। কয়জনের ঘরে নেট আছে,স্মার্ট ফোন আছে,কয়জন সংসদ টিভির নাম জানে,কতজন বাবা মা এখনও ১০০% সচেতন,,,?এসবের কোন মানেই হয় না।আমি শিক্ষামন্ত্রী হলে ডাইরেক্ট বলে দিতাম এবার তোমাদের পরীক্ষা আসবে গল্পের বই পড়া বা গল্প শুনার উপরে। এটা শুধু গল্পের বই হতেই হবে এমন নয়,দাদা-দাদী,মামা-মামী,বাবা-মা যার কাছ থেকে পারো ১০/২০ গল্প শুনবে।তোমার জন্মকালের গল্প,বাবার বাবা(দাদা) কি করতেন,কিভাবে ঢাকায় আসলে,কেনো তোমার পরিবার এই স্কুলে তোমাকে ভর্তি করলো,ধর্মীয় গল্প ইত্যাদী ইত্যাদী সব গল্প। এই গল্প শুনেই তোমাকে নম্বর দেয়া হবে।করোনায় সময়টায় অন্তত বাচ্চারা বাবা-মার সাথে বিভিন্ন গল্প আবিষ্কার করতে পারবে,শিখতে পারবে,শুনতে পারে।
এই শিক্ষাতে তাদের যে পরিমান মানসিক বিকাশ হবে এর পরের ৬ বছরের পড়া বাচ্চারে ৬ মাস বা ৬ দিন বা ৬ ঘন্টাতেও আয়ত্ত করতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস।বাচ্চাদের মগজটা আগে ফুটতে দিন,খুলতে দিন দেখুন আপনার বাচ্চাই শ্রেষ্ঠ বাচ্চা হবে।
সরি আমার রাগের কথাগুলো হয়তো কারো ভালো লাগবে না,তবে সত্যিই আমি তাই করতাম।এখন করোনার সময়ে বাচ্চাদের মাথার মগজে গল্প,ইতিহাস ডুকিয়ে উর্বর করতাম এবং স্কুলে যাওয়ার পর ফসল ফলাতাম।দেখিয়ে দিতাম কত উন্নত ফসল ঐ গল্প শুনার মাথায় উৎপন্ন হয়।
-কেএফ