অনলাইন ডেস্কঃ
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বার বার তাঁকে বিএনপির পক্ষ থেকে অপমান করা সত্ত্বেও জনগণের বৃহত্তর স্বার্থে অবাধ ও সকলের অংশগ্রহণমূলক একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানে জন্য তিনি ঐ দলের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সংলাপে বসেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই রকম অপমান তারা করেছে, হয়তো আমরা ভুলতে পারবো না। তারপরও, আগামীতে সকলের অংশগ্রহণমূলক, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করা দায়িত্ব মনে করে আমরা সংলাপে গিয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী জ বিকেলে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত স্মরণ সভায় সভাপতির ভাষণে একথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা চাই সকলের অংশগ্রহণে একটা সুষ্ঠু নির্বাচন হোক। এদেশের মানুষকে যাতে ঐ জ্বালাও-পোড়াও- এ ধরনের ঘটনার সম্মুখীন হতে না হয়।
তিনি বলেন, এত অপমান এতকিছু সব সহ্য করেও আমরা শুধু দেশের মানুষের কথা চিন্তা করে, দেশের মানুষ শান্তিতে থাকুক, দেশের মানুষ তাঁর ভোটটা শান্তিতে দিতে পারুক, দেশের মানুষ তাঁর মন মত সরকার বেছে নিক- সেই চিন্তাটা করেই আমরা এই সংলাপে বসেছি।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর সময়ে দেশের নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ উল্লেখ করে বলেন, ‘আমরা ক্ষমতায় আছি কাজেই আগামীর নির্বাচন যে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। কারণ, আমরা সরকারে আসার পরে এই পর্যন্ত ৬ হাজারের বেশি নির্বাচন হয়েছে, এরমধ্যে স্থানীয় সরকারের নির্বাচন, সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন, পৌরসভা নির্বাচন এবং আওয়ামী লীগের প্রায় ১৫ জন সংসদ সদস্য মারা যাওয়ায় সেসব আসনে উপনির্বাচন হয়েছে। কিন্তু সেসব নির্বাচন নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলতে পারেনি।
তিনি বলেন, এক সময় আমরা ৫টি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে হেরেছি, সিলেটে হেরেছি, বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন হবার পরে নির্বাচন কমিশন ২৫৪টি ভোট কেন্দ্রের ভোটের পুনঃতদন্ত করে প্রায় দেড় মাস পর ফল ঘোষণা করেছে, সেখানে আমরা কোনরকম হস্তক্ষেপ করিনি। কারণ, জনগণ ভোটের মালিক, জনগণ ভোট দেবে এবং স্বাধীনভাবে নির্বাচন কমিশন কাজ করছে।
এই নির্বাচন কমিশনকে সকল দলের প্রতিনিধি নিয়ে এমনকি বিএনপিরও প্রতিনিধি নিয়ে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক গঠিত সার্চ কমিটি গঠনের মাধ্যমে গঠন করা হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কাজেই এই নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকার সুযোগ আছে বলে মনে করি না এবং এই সার্চ কমিটি দ্বারা গঠিত নির্বাচন কমিশন প্রতিটি নির্বাচন করেছে স্বচ্ছতার সাথে এবং তাঁরা যা ফলাফল দিয়েছে আমরা সেটাই মেনে নিয়েছি।
তাঁর সরকার জায়গায় যদি বিএনপি ক্ষমতায় থাকতো তাহলে দেশে এত সুষ্ঠুভাবে কি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারতো, তারা কি পরাজয়গুলো মেনে নিত? প্রশ্ন তোলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, সিলেট এবং কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনে হারার পরও আমরা মেনে নিয়েছি। কারণ, এত উন্নয়ন কাজ করেছি তারপরও যদি জনগণ ভোট না দেয় আমাদের করার কিছু নেই, এটা জনগণের বিচার। তাঁরা যেটা বিচার করবে সেটাই হবে।
-ডিআর/বাসস