নির্বাচনঃ
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় দু’জন নিহতের মধ্য দিয়ে সপ্তম ধাপে ১৩৮ ইউপিতে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। ২০ জেলার ২৪টি উপজেলায় এসব ইউপিতে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোট গ্রহণ চলে।
সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ১৩৮ ইউপির মধ্যে ৯টিতে ইভিএম অন্যগুলোতে ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ হয়। এ ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন ১১ জন। সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ১৩ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ৪৭ জন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ:
চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার স্থগিত হওয়া তিন ইউনিয়ন পরিষদের পুনরায় ভোটে একটিতে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ। দু’টিতে জিতেছে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।
ভোলাহাট উপজেলার গোহালবাড়ি ইউনিয়নে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী ইয়াসিন আলী। নৌকা প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ৮ হাজার ৯৮৩। তার নিকটতম স্বতন্ত্র প্রার্থী রফিকুল ইসলাম আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৫ হাজার ৬৭২ ভোট।
দলদলি ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোজাম্মেল হক চুটু চশমা প্রতীকে পেয়েছেন ৫ হাজার ৭২৩ ভোট। তার নিকটতম নৌকা প্রতীকের আনিসুর রহমান পেয়েছেন ৪ হাজার ৭৭৮ ভোট।
ভোলাহাট সদর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী পিয়ার জাহান মোটরসাইকেল প্রতীকে ৪ হাজার ৯৭৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম নৌকা প্রতীকের আব্দুল খালেক পেয়েছেন ৪ হাজার ৭৭৮ ভোট।
পটুয়াখালী:
পটুয়াখালীতে ১৯ বছর পর জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলার বড়বাইশদিয়া ও মৌডুবি ইউনিয়নের দু’টিতে এবং ১১ বছর পর বাউফল উপজেলার নাজিরপুর, মদনপুর, দাশপাড়া ও বাউফল সদরসহ চারটি ইউপিতে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে।
সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলে। এ নির্বাচনে চারটিতে আওয়ামী লীগ, একটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) এবং একটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়লাভ করেন। সংশ্লিষ্ট উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সবগুলো ইউনিয়নে সীমানা জটিলতা ও আদালতে মামলা থাকার কারণে এতদিন নির্বাচন স্থগিত ছিল।
এ নির্বাচনে ইউনিয়ন ওয়ারী বিজয়ী প্রার্থীরা হচ্ছেন, ১৯ বছর পর অনুষ্ঠেয় রাঙ্গাবালী উপজেলার বড়বাইশদিয়া ইউপিতে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও রাঙ্গাবালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ফরহাদ হোসেন (আনারস মার্কা) এবং মৌডুবি ইউপিতে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাহমুদ হাসান রাসেল (নৌকা)।
অন্যদিকে ১১ বছর পর অনুষ্ঠেয় জেলার বাউফলে চারটি ইউপিতে নির্বাচিত হয়েছেন নাজিরপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মো. আমির হোসেন (নৌকা), মদনপুর ইউনিয়নে মো. গোলাম মোস্তফা (নৌকা), দাশপাড়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের এএনএম জাহাঙ্গীর হোসেন (নৌকা) ও বাউফল সদর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. জাহিদুর রহমান (চশমা)।
এদের মধ্যে দাশপাড়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এএনএম জাহাঙ্গীর হোসেন (নৌকা) বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
সুনামগঞ্জ:
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সিলেটের সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের নির্বাচন সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে। উপজেলার ৭১ টি কেন্দ্রে কোনো বিশৃঙ্খল পরিবেশ ছাড়াই সকাল ৮ টা থেকে শুরু হওয়া ভোট বিকেল ৪ টায় শেষ হয়েছে।
সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীদের পরাজয় হয়েছে। তবে চারটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনটিতে বিএনপি নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়েছেন।
ফলাফলের এমন বিপর্যয়ের জন্য আওয়ামী লীগের স্থানীয় সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতনকে দোষারোপ করেছেন জেলা সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিউর রহমান।
বিজয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন, তাহিরপুর সদর ইউনিয়নে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জুনাব আলী (ঘোড়া প্রতীক), এই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোতাহার হোসেন আখঞ্জি শামীম।
বাদাঘাট ইউনিয়নে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন (ঘোড়া প্রতীক)। এই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সুজাত মিয়া।
বড়দল উত্তর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মাসুক মিয়া (ঘোড়া)। এই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন।
বড়দল দক্ষিণ ইউনিয়নে নির্বাচিত হয়েছেন সদ্য পদত্যাগকারী আওয়ামী লীগ নেতা মো. ইউনুস মিয়া (মোটরসাইকেল)। এই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম।
শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আলী হায়দার (চশমা)। এই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি আবুল খায়ের।
শ্রীপুর দক্ষিণ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি আলী আহমদ মুরাদ (ঢোল)। এই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন সাবেক যুবলীগ নেতা বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ সরকার।
বালিজুরি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী স্থলবন্দর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক আজাদ হোসেন (আনারস) প্রতীকে বিজয়ী হয়েছেন। এই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আতাউর রহমান।
জয়পুরহাট:
সপ্তম ধাপে জয়পুরহাটের পাঁচবিবির উপজেলার কুসুম্বা ইউনিয়নের নির্বাচন হয়েছে। এই নির্বাচনে বেসরকারিভাবে ফলাফলে প্রথমবারের মতো নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জিহাদ মন্ডল ১৫ হাজার ৪৮৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীকের প্রার্থী পেয়েছেন পাঁচ হাজার ৫২ ভোট।
সপ্তম ধাপের ইউপি নির্বাচনে পাঁচবিবি উপজেলার দুই ইউপিতে ভোট হওয়ার কথা থাকলেও রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে আওলাই ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন।
টাঙ্গাইল:
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার অলোয়া ইউনিয়ন পরিষদের নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী রফিকুল ইসলাম রফিক।
গত ২৬ ডিসেম্বর স্থগিত হওয়া ভোট সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) হয়েছে।
আকালু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ২ হাজার ৭ ভোট প্রাপ্তি সাপেক্ষে তিনি পেয়েছেন ৭ হাজার ৬২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আনারস প্রতীকে ৩৯ ভোটসহ মোট ভোট পেয়েছেন ৬ হাজার ৩৯ টি। ১ হাজার ২৩ ভোট বেশি পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন রফিকুল ইসলাম রফিক।
এ ছাড়া আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রহিজ উদ্দিন আকন্দ মোটরসাইকেল প্রতীকে ৩৯৮ ভোটসহ ৪ হাজার ৯২৫ ভোট।
চুয়াডাঙ্গা:
সীমানা জটিলতার কারণে দীর্ঘ ১১ বছর পর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নে। এতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী (নৌকা) শুকুর আলী বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। গণমাধ্যেমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর উপজেলা নির্বাচন ও রিটার্নিং কর্মকর্তা কামরুল হাসান।
এর আগে সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ভোটগ্রহণের পর গণনা শেষে সন্ধ্যায় সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে ফলাফল এসেছে।
গাইবান্ধা:
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার শিবপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ভিপি সেকেন্দার আলী মন্ডল ৪ হাজার ৮২৬ ভোট পেয়েছেন। নিকটতম তৌহিদুল ইসলাম প্রধান শাহীন আসারস প্রতীক নিয়ে ৪ হাজার ৪৪৬ ভোট পেয়েছেন।
ঠাকুরগাঁও:
ঠাকুরগাঁও সদরের দু’টি ইউনিয়নের মধ্যে বড়গাঁও ইউনিয়নে আ.লীগ এবং সেনুয়া ইউনিয়নে স্বতন্ত্র (মোটরসাইকেল) প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।
রাঙ্গামাটি:
রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার তিন উপজেলায় ১৭ ইউপিতে (ইউনিয়ন পরিষদ) শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট সম্পন্ন হয়েছে। এগুলোর মধ্যে ছিল বাঘাইছড়ি উপজেলায় ৮টি, লংগদু উপজেলায় ৭টি এবং জুরাছড়ি উপজেলায় ২টি। ভোট চলাকালে কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
এসব ইউপিতে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত চেয়ারম্যানদের মধ্যে আওয়ামী লীগ ৪, আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী ৪, প্রকৃত স্বতন্ত্র ৮ এবং বিএনপি স্বতন্ত্র ১ জন বিজয়ী হয়েছেন। ভোট গণনা শেষে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ খবর জানা গেছে।
নির্বাচিত চেয়ারম্যানরা হলেন- বাঘাইছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নে অলিভ চাকমা (আ.লীগ), রূপকারী ইউনিয়নে জেসমিন চাকমা ওরফে ধনেশ্বর (স্বতন্ত্র), মারিশ্যা ইউনিয়নে আপন চাকমা (স্বতন্ত্র), আমতলী ইউনিয়নে মুজিবুর রহমান (আ’লীগ বিদ্রোহী), খেদারমারা ইউনিয়নে বিলটু চাকমা (স্বতন্ত্র), সারোয়াতলী ইউনিয়নে ভুপতি রঞ্জন চাকমা (স্বতন্ত্র), বঙ্গলতলী ইউনিয়নে জ্ঞান জ্যোতি চাকমা (স্বতন্ত্র) ও সাজেক ইউনিয়নে অতুলাল চাকমা (স্বতন্ত্র), লংগদু উপজেলার মাইনিমুখ ইউনিয়নে কামাল হোসেন কমল (আ’লীগ বিদ্রোহী), গুলশাখালী ইউনিয়নে মো. শফিকুল ইসলাম (আ.লীগ)।
কালাপাকুজ্জ্যা মো. আব্দুল বারেক দেওয়ান (বিএনপি স্বতন্ত্র), ভাসাইন্যাদম ইউনিয়নে মো. হজরত আলী (আ.লীগ বিদ্রোহী), বগাচতর ইউনিয়নে মো. আবুল বাশার (আ.লীগ), আটারকছড়া ইউনিয়নে অজয় চাকমা (আ.লীগ) ও লংগদু ইউনিয়নে কুলিন মিত্র চাকমা আদু (আ.লীগ বিদ্রোহী) এবং জুরাছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নে ইমন চাকমা (স্বতন্ত্র) ও বনযোগীছড়া ইউনিয়নে, সন্তোষ বিকাশ চাকমা (স্বতন্ত্র)। তাদের মধ্যে বাঘাইছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নে অলিভ চাকমা (আ.লীগ) ও রূপকারী ইউনিয়নে জেসমিন চাকমা ওরফে ধনেশ্বর (স্বতন্ত্র) বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন।
নওগাঁ:
গত ৫ জানুয়ারি বিশৃঙ্খলা ও নির্বাচনি সহিংসতার কারণে নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার ৪ ইউপির মোট ৫টি ভোটকেন্দ্রের ফলাফল তখন স্থগিত থাকায় সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) পুনরায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর আওয়ামী লীগ নৌকা প্রতীকে দুজন, আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী একজন এবং স্বতন্ত্র বিএনপি একজন বিজয়ী হয়েছেন।
উপজেলার ৪ ইউনিয়নের ৪টি বেসরকারি ফলাফলে ঘোষনগর ইউনিয়ন বিজয়ী মো. আবু বক্কর সিদ্দিক আওয়ামী নৌকা প্রতীক।
জানা গেছে, সপ্তম ধাপে ১৩৮ ইউপিতে ২০ জেলার ২৪টি উপজেলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৫ হাজার ৮৭৪ জন প্রার্থী। এরমধ্যে চেয়ারম্যান প্রার্থী ৫৭৬ জন। সংরক্ষিত নারী সদস্যপদে প্রার্থী এক হাজার ২৩৬ জন। এ ছাড়াও সাধারণ সদস্যপদে চার হাজার ৬২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
মোট ভোটকেন্দ্র ১৩৫০টি, ভোটকক্ষ সাত হাজার ৮৫টি। ২৪ লাখ ৫১ হাজার ৭৮২ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন। এদের মধ্যে পুরুষ ১২ লাখ ৫৭ হাজার ৫৮৬ জন, নারী ১১ লাখ ৯৪ হাজার ২২৯ জন। এ ছাড়াও তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন তিনজন।
উল্লেখ্য, চলমান ইউপি নির্বাচনে ইতোমধ্যে সপ্তম ধাপের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। গত ২১ জুন ও ২০ সেপ্টেম্বর প্রথম ধাপের দুই দফায় ৩৬৯টি এবং ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপে ৮৩৩টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৮ নভেম্বর তৃতীয় ধাপে এক হাজার ইউপিতে ভোট অনুষ্ঠিত হয়।
চতুর্থ ধাপে ২৬ ডিসেম্বর ৮৩৬ ইউপিতে ভোট হয়েছে। ৫ জানুয়ারি পঞ্চম ধাপে ৭০৮টি ইউনিয়ন পরিষদে ভোট হয়। এরপর ষষ্ঠ ধাপে ২১৬ ইউপিতে ৩১ জানুয়ারি ভোটগ্রহণ করা হয়। অষ্টম ধাপে ৮টি ইউনিয়ন পরিষদের ভোট নেওয়া হবে আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি।
-টিপু