সারাদেশঃ
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের বঙ্গবন্ধু সেতু থেকে পাকুল্লা পর্যন্ত অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে ৪০ কিলোমিটার সড়ক জুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এই রাস্তায় খুবই ধীরগতিতে থেমে থেমে চলছে যানবাহন। দীর্ঘ এই যানজটের কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন বাড়ি ফেরা মানুষেরা।
মহাসড়কের পাকুল্লা, করটিয়া বাইপাস, নগরজলফৈই, রাবনা বাইপাস এবং এলেঙ্গায় ৫ থেকে ৭ কিলোমিটার পর্যন্ত দীর্ঘ হচ্ছে এই যানজট। জানা গেছে, গত ৮ আগস্ট থেকে ১০ আগস্ট পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু সেতুর টোল প্লাজা ১২ বার বন্ধ হয়েছে। সেতুর টোল আদায় বন্ধ থাকায় যানজট দীর্ঘ হয়েছে। এছাড়াও সেতুর পশ্চিম অংশের সিরাজগঞ্জ জেলার নলকা ব্রিজ, হাটিকুমরুল আর কড্ডা মোড় এলাকায় টানতে না পারার কারণে এ যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।
যানজট নিরসনে টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের ৬৭০ জন পোশাকধারী পুলিশ সদস্যের পাশাপাশি সাদা পোশাকের পুলিশ, র্যাব ও ১৯০ জন আনসার সদস্য কাজ করছে। এ যানজটের আরো একটি কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ফিটনেসবিহীন যানবাহন। ঈদকে সামনে রেখে গাড়িগুলো সড়কে নেমে আসাসহ যত্রতত্র নষ্ট হয়ে সৃষ্টি করছে যানজট।
বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার ওসি মোশারফ হোসেন জানান, সিরাজগঞ্জের নলকা সেতুতে গাড়ি টানতে না পাড়ায় টাঙ্গাইল অংশে থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। আবার অতিরিক্ত গাড়ির চাপের কারণে বঙ্গবন্ধু সেতুতে দীর্ঘ লাইন হয়ে যায়। এজন্য সেতুর পর থেকে চাপ কমাতে থেমে থেমে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ
ঈদযাত্রায় কোথাও যানজট নেইঃ কাদের
টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. শহীদুল ইসলাম জানান, ঘরমুখো মানুষদের নিরাপদে বাড়ি ফেরা নির্ভিঘ্নে করতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইউএনও ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছেন। এছাড়াও তিনিসহ (জেলা প্রশাসক) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মহাসড়কে দায়িত্ব পালন করছেন।
-কেএম