করোনা সংবাদ:
দেশে নতুন করে ৭৮৬ জনের দেহে নভেল করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ শনাক্ত করা হয়েছে। এটি ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ শনাক্ত।এতে দেশে এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৯২৯ জন। এ ছাড়া এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় (সোমবার সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮৩ জনে। নতুন মারা যাওয়া ব্যক্তির বয়স ২১ থেকে ৩০ এর মধ্যে। তিনি পুরুষ।
ডা. নাসিমা সুলতানা আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১৯৩ জন। এই নিয়ে এক হাজার ৪০৩ জন করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ফিরেছেন।
তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৬ হাজার ১৮২টি। আর পরীক্ষা হয়েছে ৫ হাজার ৭১১টি। যার মধ্যে ৭৮৬ জনের কভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছে। সারাদেশের ৩৩টি ল্যাব থেকে এ ফলাফল এসেছে।
ডা. নাসিমা সুলতানা আরও বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে ১২৮ জনকে। আর সর্বমোট আইসোলেশনে আছেন ১ হাজার ৬৯৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৭০ জন এবং আইসোলেশন থেকে মোট ছাড়া পেয়েছেন ১ হাজার ২৪৩ জন।
তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে কোনো আইসোলেশন শয্যা করা হয়নি। দেশে ঢাকার বাইরে ৫ হাজার ৬৯৪টি ও ঢাকায় ২ হাজার ৯০০টি অর্থাৎ সর্বমোট ৮ হাজার ৫৯৪টি আইসোলেশন শয্যা রয়েছে। আর সারাদেশে আইসিইউ শয্যা রয়েছে ৩২৯টি এবং ডায়ালাইসিস শয্যা ১০২টি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই অতিরিক্ত মহাপরিচালক বলেন, ২৪ ঘণ্টায় হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে ২ হাজার ৪৭৭ জনকে। এ পর্যন্ত মোট কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত হয়েছে ১ লাখ ৯৭ হাজার ৮১১ জনের। আর ২৪ ঘণ্টায় হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৩ হাজার ২৮৮ জন এবং সর্বমোট ছাড়া পেয়েছেন ১ লাখ ৫৬ হাজার ৬৮৯ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৪১ হাজার ১২২ জন।
তিনি আরও বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সবগুলো হটলাইনে ৬৭ হাজার ৬২৪টি ফোনকল রিসিভ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট ফোনকল রিসিভ হয়েছে ৪০ লাখ ৪৫ হাজার ৬০টি। আর ২৪ ঘণ্টায় নতুন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসক যোগ দিয়েছেন ৩২ জন। এই নিয়ে সর্বমোট প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসক আছেন ১৫ হাজার ৬২২ জন এবং স্বেচ্ছাভিত্তিতে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন ৪ হাজার ৪০ জন চিকিৎসক।
-এফকে