২৩ রাজনীতিককে ইয়ং লিডারস ফেলোশিপ দিল ইউএসএআইডি

২৩ রাজনীতিককে ইয়ং লিডারস ফেলোশিপ দিল ইউএসএআইডি
২৩ রাজনীতিককে ইয়ং লিডারস ফেলোশিপ দিল ইউএসএআইডি

রাজনীতিঃ
আজ ইউএসএআইডি-এর অর্থায়নে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের বাস্তবায়নে স্ট্রেংদেনিং পলিটিক্যাল ল্যান্ডস্কেপ প্রকল্প সারা বাংলাদেশ থেকে আগত ২৩ তরুণ রাজনৈতিক নেতাকে ঢাকায় আয়োজিত ইয়ং লিডারস ফেলোশিপ প্রোগ্রাম গ্রাজুয়েশন অনুষ্ঠানে সার্টিফিকেট দিয়েছে।

গ্রাজুয়েটকৃত ফেলোরা বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, এবং জাতীয় ছাত্র সমাজের সক্রিয় নেতৃবৃন্দ। এটি ছিল ইয়ং লিডারস ফেলোশিপ প্রোগ্রামের ২০ তম ক্লাস। এই চার মাসব্যাপী নিবিড় প্রশিক্ষণ চলাকালীন তাঁরা রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, নেতৃত্ব দক্ষতা, রাজনৈতিক চর্চা, দ্বন্দ্ব নিরসন, দল সুসংগঠিতকরণ ও গণমাধ্যমের সাথে কাজ করা নিয়ে বিশদ জ্ঞান অর্জন করেছেন।

এখন পর্যন্ত মোট ৪৮৯ তরুণ রাজনৈতিক নেতা এই কর্মসূচি থেকে গ্রাজুয়েশন অর্জন করেছেন। ইয়ং লিডারস ফেলোশিপ প্রোগ্রামের লক্ষ্য হল তরুণ নেতাদের রাজনৈতিক দক্ষতা বৃদ্ধি করা, তাদের রাজনৈতিক দলে তাঁদের ক্যারিয়ারকে সমৃদ্ধ করা, অন্যান্য রাজনৈতিক দলে তাঁদের সমকক্ষদের প্রতি সহমর্মিতা বৃদ্ধি এবং পেশাদার সম্পর্ক তৈরি করা যা বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির মেরুকরণকে অতিক্রম করতে পারে।

ইয়ং লিডারস ফেলোশিপ প্রোগ্রাম বাংলাদেশের তরুণ রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে বেশ সুপরিচিত কারণ এটি নেতৃত্ব এবং রাজনীতি বিষয়ে শেখার অনন্য সুযোগ সৃষ্টি করে যা সাধারণত অন্য কোথাও সুলভ নয়।

এই গ্রাজুয়েশন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক ও সংসদ সদস্য শ্রী অসীম কুমার উকিল; বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল; জাতীয় পার্টির যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু; এবং ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের চিফ অব পার্টি ডানা এল. ওল্ডস ফেলোদের মধ্যে ফেলোশিপ সনদপত্র বিতরণ করেন।

এই অনুষ্ঠানে গ্রাজুয়েশনকৃত ফেলোরা ইয়ং লিডারস ফেলোশিপ ক্লাস থেকে তাঁদের যা শিখেছেন এবং তৃণমূলে তাঁরা কি উপায়ে তরুণদের রাজনৈতিক অনীহা দূর করতে চান তা নিয়ে পরিকল্পনা করেন।

এছাড়া, তাঁরা কীভাবে ইতিবাচক প্রভাব রাখতে পারেন এবং একটি শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়তে গঠনমূলক গণতান্ত্রিক অনুশীলনের উদাহরণ হিসাবে কাজ করতে পারেন সেই ধারণা উপস্থাপনা করেন।

শ্রী অসীম কুমার উকিল বলেন, ‘আমি অতীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদে নেতৃত্ব দিয়েছি। ছাত্র রাজনীতি ছাত্রদের কল্যাণের জন্যই হয়ে থাকে। ছাত্র রাজনীতি নেতা তৈরির কারখানা।

এই কর্মসূচীর মাধ্যমে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল একটি অনন্যসাধারণ কাজ করছে। আশা করি ডিআই তাঁদের এই বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক প্রশিক্ষণ সব সময় অব্যাহত রাখবে।’

আজিজুল বারী হেলাল বলেন, ‘ছাত্র রাজনীতির পটভূমিকায় এদেশের রাজনীতি গড়ে ওঠে। ছাত্র রাজনীতির একটি অপরিহার্য দিক হল ক্যাম্পাসভিত্তিক সমস্যাসমূহ যেগুলো নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর ছাত্র সংগঠনগুলোর ছাত্র রাজনীতিবিদরা ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের সহায়তায় কাজ করছেন।

একজন দক্ষ রাজনৈতিক কর্মী হতে হলে আপনাকে রাজনৈতিক জ্ঞান অর্জন করতে হবে। সকলের প্রতি উদারতা প্রদর্শনই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য।’

গোলাম মোহাম্মদ রাজু বলেন, ‘৯০ এর দশকের পর দেশের ছাত্র রাজনীতিতে যে বন্ধ্যাত্ব, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও লেজুড়বৃত্তির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের এসব প্রশিক্ষণ এই অস্থিতিশীলতা কমাতে সাহায্য করছে।

একসাথে কাজ করতে গিয়ে আপনাদের মধ্যে যে নিবিড় বন্ধুত্ব তৈরি হয়েছে, তা নষ্ট হওয়ার নয়।

আপনারা রাজনৈতিক সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির মাধ্যমে একত্রিত হয়ে যেভাবে কাজ করছেন, তা অটুট থাকুক।’

সমাপনী বক্তব্যে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের চিফ অব পার্টি ডানা এল. ওল্ডস বলেন, ‘সুনির্দিষ্টভাবে কেবল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে আপনারাই ফেলোশিপের প্রথম ক্লাস।

তরুণদের মধ্যে রাজনৈতিক অনীহা মোকাবেলায় আপনাদের উদ্ভাবনী ধারণায় আমি মুগ্ধ। আপনারা পরিবর্তনের গুরুত্বপূর্ণ ধারক এবং ভবিষ্যতের উজ্জ্বল নেতা।

আপনারা প্রমাণ করেছেন যে সকল শিক্ষার্থীদের সুফল নিশ্চিত করতে ভিন্ন ভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সম্পর্ক তৈরি করা সম্ভব।’

-শিশির

FacebookTwitter