১৮ ডিসেম্বর আ’লীগের ইসতেহার ঘোষণা

অনলাইনঃ

‘সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ স্লোগানে প্রস্তুত ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের একাদশ নির্বাচনী ইশতেহার। ১৮ ডিসেম্বর তা তুলে ধরবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান এইচ টি ইমাম।

গত দুই জাতীয় নির্বাচনে ইশতেহার এবং স্লোগানে আলোচনায় এসেছিলো আওয়ামী লীগ। তার ধারাবাহিকতায় দলটি এবারও প্রত্যাশা করছে দেশের জনগণ তাদের ইশতেহারের স্লোগান উৎসাহের সঙ্গে গ্রহণ করবে।

এর আগে, ২০০৮ সালের দিন বদলের সনদ ও ২০১৪ সালের এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ স্লোগানে ইশতেহার প্রকাশ করে আওয়ামী লীগ।

একাদশ জাতীয় নির্বাচনের ইশতেহার ঘোষণার মধ্যদিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কী বার্তা দিতে চাইছে? এমন প্রশ্নের জবাবে ইশতেহার কমিটির আহ্বায়ক ড. আবদুর রাজ্জাক জানিয়েছেন: ইশতেহারে আমরা আগামির সমৃদ্ধ বাংলাদেশের রোডম্যাপ তুলে ধরবো। সেই সঙ্গে তরুণদের এ উন্নয়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে থাকছে বিশেষ পরিকল্পনা।

এছাড়া, নিরাপদ খাদ্য-কৃষিতে আমরা কী করবো, শিল্পায়নের জন্য আমরা কী করবো সবই তুলে ধরা হবে ইশতেহারে।

ড. আবদুর রাজ্জাক বলেন: আওয়ামী লীগ ১০ বছর ধরে ক্ষমতায় রয়েছে। এবারের নির্বাচনী ইশতেহার আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা দাবি করে থাকি সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক সকল ক্ষেত্রে আমাদের সময় উন্নতি হয়েছে। আমাদের এই উন্নয়ন সারা পৃথিবীতে নন্দিত হয়েছে, প্রশংসিত হয়েছে, সারা বিশ্বের সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা বলেছে। আমাদের সময়ে যে উন্নয়ন সেটা সারা বিশ্বের কাছে বিস্ময়।

‘আমি এটুকু বলতে চাই আমরা গত ১০ বছরে উন্নয়নের যে ভিত্তি রচনা করেছি সেই ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ আগামীর পথে কিভাবে এগিয়ে যাবে তা আমাদের ইশতেহারে তুলে ধরা হবে।

তিনি বলেন: আমাদের সময়ে বাংলাদেশ সুনির্দিষ্ট প্রবৃদ্ধিসহ যথেষ্ট যোগ্যতা অর্জন করেছে। আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারে, উন্নয়নের যে মহাসড়কে আমরা অবস্থান করছি সেটাকে আরও বেগবান করার বিস্তারিত পরিকল্পনা থাকবে।

ইশতেহারে অন্তর্ভুক্ত বিষয় তুলে ধরে রাজ্জাক বলেন: ইতিমধ্যে আমরা ৭.৮ ভাগ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছি। এই প্রবৃদ্ধিকে আরো বাড়াতে চাই। আমরা এমডিজির সকল লক্ষ্য পূরণ করেছি। আমরা দারিদ্র্য কমিয়ে আনতে চাই, অতি-দারিদ্র্যকে শেষ করতে চাই। আমাদের চ্যালেঞ্জ হবে পুষ্টি সম্মত ও মানসম্মত খাদ্য জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়া।

তিনি আরও যোগ করেন: আমাদের ইশতেহারে আমাদের পুলিশ বাহিনী কী হবে, দুর্নীতি কিভাবে কমে আসবে সেটা বলার চেষ্টা করবো। জনহিতৈষী একটি পুলিশ বাহিনী আমরা গড়তে চাই।

তরুণদের নিয়ে আওয়ামী লীগের বিশেষ পরিকল্পনা থাকছে ইশতেহারে জানিয়ে রাজ্জাক বলেন: তরুণ সমাজকে উন্নয়নের মহাসড়কে সম্পৃক্ত করতে চাই। কী করবো সেটা আমাদের ইশতেহারে সম্পৃক্ত করেছি। বিপুল সংখ্যক শিক্ষিত তরুণ তাদের আমাদের উন্নয়নের সাথে, তাদের জীবিকার উন্নয়নে আমরা আরও কিভাবে সম্পৃক্ত হবো তা তুলে ধরবো ইশতেহারে।

তিনি বলেন: ‘সামষ্টিক অর্থনীতি, জিডিপি প্রবৃদ্ধি, ব্যাংক ব্যবস্থা কী হবে, বিনিয়োগ কিভাবে বাড়ানো, কৃষিতে কর্মসংস্থান কমে যাওয়ায় আমাদের চেয়ে যুব সমাজের কাজের ব্যবস্থা কী হবে সবই থাকবে ইশতেহারে।

FacebookTwitter