অনলাইনঃ
সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, ‘ছোটখাটো ভুল হলে কারো মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয় না। মনোনয়নপত্রে স্বাক্ষর না দেয়া হলে তাকে ডেকে এনে আবার স্বাক্ষর দেয়ার সুযোগ দেয়া যেতে পারে।’
রোববার রাতে একাত্তর টেলিভিশনের এক আলোচনায় তিনি একথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, ‘ঋণ খেলাপি হওয়ার কারণে মনোনয়ন বাতিল হতে পারে, এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রেজিস্টারে ক্লাসিফাইড লোন দেখাতে হবে, তা না হলে মনোনয়ন বাতিল হতে পারে। এছাড়া কারো শিক্ষা সনদ না দেয়া এবং সম্পদের হিসাব না দিলে মনোনয়ন বাতিল হয়। শাস্তির জন্য ২ বছরের বেশি সাজা নিম্ন আদালতে হয় তাহলে উচ্চ আদালতে সেই সাজা স্থগিত না করে, তাহলে তার মনোনয়ন পত্র বাতিল হতে পারে। মনোনয়ন নিয়ে আপিলের জন্য তিন দিন সময় দেয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের আপিলে মনোনয়ন বাতিল হলে সর্বশেষ উচ্চআদালতের যেতে পারেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘কেউ যদি আপিলে বৈধ হয় তাহলে কেই তার বৈধতার বিরুদ্ধে যে কেউ আপিল করতে পারেন। তবে কেউ যদি তার শিক্ষা সনদ জমা না দেন তাহলে তাকে কয়েকদিন সময় দেয়া হয় সনদ জমা দেয়ার জন্য।’
তিনি জানান, মানিকগঞ্জে ৩ টি আসনে ৭ জনের মনোনয়ন বাতিল হওয়ার কারণ হিসাবে রির্টার্নিং কর্মকর্তা বলেছেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের স্বাক্ষরের সাথে ওই স্বাক্ষরের মিল পায়নি তাই মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। যদিও মির্জা ফখরুল ইসলাম লিখিতভাবে জানিয়েছে ওই স্বাক্ষর তার নিজের এবং তিনি ওই প্রার্থীদের ব্যক্তিগতভাবে চেনেন। তারপরেও মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।
এক প্রশ্নে জবাবে তিনি বলেন, মনোনয়ন জমা দেয়ার ক্ষেত্রে সময় অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ বিবেচ্য বিষয়। কারণ মনোনয়ন জমার শেষ মুহূর্তে রিটার্নিং অফিসারের সামনে উপস্থিত থাকতে হবে। অফিস এরিয়ার মধ্যে থাকলেও মনোনয়ন গৃহীত হয় না।