অনলাইনঃ
সৌদি থেকে আরও ১০৯ জন প্রবাসী বাংলাদেশী দেশে ফিরলেন। এ বছরের ১৬ দিনে ১৬১০ জন বাংলাদেশি দেশে ফিরলেন। ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম থেকে প্রবাসীদের দেশে ফিরতে এ সহযোগিতা প্রদান করা হয়।
বৃহস্পতিবার ফেরা সিলেটের তালেব (৩০) মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। রাতেই তাকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পাঁচ বছর আগে শ্রমিক হিসাবে সৌদি যান তালেব। কিন্তু গত দুই মাস আগে সেখানে মানসিক ভারসাম্য হারান তিনি।
মাত্র দুই মাস আগে সৌদি গিয়েছিলেন নোয়াখালীর আজিম হোসেন। পাসপোর্টে তিন মাসের ভিসা থাকা সত্ত্বেও পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। তিনি বলেন, বাজার করার জন্য মার্কেটে যাওয়ার সময় পুলিশ আটক করে। গ্রেপ্তারের সময় পুলিশের সঙ্গে নিয়োগকর্তার কথা বলার পরেও তাকে দেশে পাঠানো হয়েছে।
মুন্সিগঞ্জের রুহুল আমিন, কুমিল্লার ফিরোজ হোসেন ও মানিক, শরিয়তপুরের মিলন, যশোরের মোসলেম উদ্দিন, বগুড়ার মেহেদি হাসান, গাজীপুরের রাজিবসহ ১০৯ বাংলাদেশির বেশিরভাগেরই এমন অবস্থা।
দেশে ফেরা কর্মীদের অভিযোগ, আকামা তৈরির জন্য নিয়োগ কর্তাকে টাকা দিলেও আকামা করে দেয়নি। পুলিশ গ্রেপ্তারের পর নিয়োগ কর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করলেও কর্মীর দায় নিচ্ছে না।
ব্র্যাক অভিবাসন কর্মসূচির প্রধান শরিফুল হাসান জানান, ২০১৯ সনে ২৫ হাজার ৭৮৯ বাংলাদেশিকে সৌদি আরব থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
নতুন বছরের শুরুর ১৬ দিনে ১৬১০ জন বাংলাদেশি ফিরলেন দেশটি থেকে। ফেরত আসাদের বর্ণনা প্রায় একইরকম। প্রায় সবাই খালি হাতে ফিরেছেন। কয়েকমাস আগে গিয়েছিলেন এমন লোকও আছেন। তারা সবাই ভবিষ্যত নিয়ে এখন দুশ্চিন্তায়।
শরিফুল হাসান গত বছরের পুরো পরিসংখ্যান দিয়ে জানান, প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের তথ্য অনুযায়ী ২০১৯ সালে মোট ৬৪ হাজার ৬৩৮ কর্মী দেশে ফিরেছেন। এর মধ্যে সৌদি আরব থেকে ২৫ হাজার ৭৮৯ জন, মালয়েশিয়া থেকে ১৫ হাজার ৩৮৯ জন, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ছয় হাজার ১১৭ জন, ওমান থেকে সাত হাজার ৩৬৬ জন, মালদ্বীপ থেকে দুই হাজার ৫২৫ জন, কাতার থেকে দুই হাজার ১২ জন, বাহরাইন থেকে এক হাজার ৪৪৮ জন ও কুয়েত থেকে ৪৭৯ জন শূন্য হাতে ফিরেছেন যাদের পরিচয় ডিপোর্টি।
-কেএম