সারাদেশঃ
ছেলেধরা গুজবে সারাদেশ অশান্ত। এই গণপিটুনির ঘটনার মধ্যে এবার সামান্য জুতা নিয়ে বিতণ্ডায় সিলেট কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে হত্যা করেছে তারই সহপাঠীরা। নিহত শিক্ষার্থীর নাম তানভীর হোসেন তুহিন (১৯)।
সিলেটের আলমপুরের কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সামনে এই ঘটনাটি ঘটে বুধবার বেলা ১১টার দিকে। প্রচণ্ড পিটুনির পর মারাত্মক আহত অবস্থায় তাকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু সন্ধ্যার পর তার অবস্থার অবনতি ঘটে।
মোগলাবাজার থানার ওসি আখতার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে আহত তুহিনের মৃত্যু হয়।
ঘটনা সম্পর্কে গোলাপগঞ্জের লক্ষ্মীপাশা ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান কবির আহমদ মুছন সাংবাদিকদের জানান, নিহত শিক্ষার্থী গোলাপগঞ্জ উপজেলার হেতিমগঞ্জের কোনাচর দক্ষিণভাগ পলিকাপন গ্রামের মানিক মিয়ার ছেলে।
সিলেট কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ ওয়ালিউল্লা মোল্লা বলেন, ‘আমি ঢাকায় ছিলাম। সকালে দুই ছাত্রের মধ্যে জুতা নিয়ে বিতণ্ডা থেকে একজনকে মারধর করা হয়েছে বলে শুনেছি। হামলার খবর পেয়ে আমাদের শিক্ষকরা আহত ছাত্রকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
তুহিনের সহপাঠীরা জানান, কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের কম্পিউটার বিষয়ে শিক্ষার্থী ছিল তুহিন। ল্যাবের সামনে জুতা রেখে ক্লাসে যায় তুহিন। ক্লাস শেষে তার জুতা অন্য এক সহপাঠীর পায়ে দেখে তা নিয়ে বাক-বিতণ্ডা হয় তার। পরে অন্য সহপাঠীদের মধ্যস্থতায় বিষয়টি মিমাংসা হয়।
কিন্তু বাসায় ফেরার পথে সেই সহপাঠী আরো কয়েকজনকে এনে তুহিনের ওপর হামলা চালায়। এরপর তাকে উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে দ্রুত ঢাকা নেওয়ার পরামর্শ দেন। ঢাকায় নেওয়ার পথেই তুহিনের মৃত্যু হয়।
-ডিকে