কর্মসংস্থানঃ
জনসেবা সাবলীল ও গণমুখী করতে জনপ্রশাসনের শূন্য পদে সাড়ে তিন লাখ লোক নিয়োগ দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে সরকার।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বাসসকে বলেন, বর্তমানে প্রশাসনে তিন থেকে সাড়ে তিন লাখ পদ শূন্য রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আমরা অধিকাংশ শূন্য পদে নিয়োগ দিতে পদক্ষেপ নিয়েছি।
আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে পরবর্তী পাঁচ বছরে দেশের জিডিপি ১০ শতাংশ এবং এ সময়ের মধ্যে ১ কোটি ২৮ লাখ লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।
প্রতিমন্ত্রী দলের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির উল্লেখ করে বলেন, ‘নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে সারাদেশে একশত অর্থনৈতিক জোন প্রতিষ্ঠা এবং বিভিন্ন মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন অব্যাহত রয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘এ সকল অর্থনৈতিক জোন ও মেগা প্রকল্পে বিপুলসংখ্যক লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। সে কারণেই সরকারের মেয়াদের মধ্যে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যমাত্র অতিক্রম করবে।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, দলের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সকল সেক্টরে সুশাসন নিশ্চিত করা হবে এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স দেখানো হবে। প্রধানমন্ত্রীর বার্তা পরিস্কার, প্রশাসন দুর্নীতির উর্দ্ধে থেকে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন ভাতা বৃদ্ধি করা হয়েছে, ফলে দুর্নীতি করার কোন সুয়োগ নেই। এই বার্তা প্রশাসনের তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। আমরা সরকারি প্রশাসনে স্বচ্ছতা নিশ্চিত এবং প্রশাসন দুর্নীতিমুক্ত করতে চাই। আমরা এমন একটি পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য কাজ করছি, যেখানে প্রত্যেকে কোন বাধা ছাড়াই তার কাঙ্খিত সেবা পেতে পারে।
প্রতিমন্ত্রী এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধির বিষয়টি নিয়ে সংসদের আসন্ন অধিবেশনে আলোচনা করা হবে। আগামী ৩০ জানুয়ারি সংসদ অধিবেশন বসছে। সংসদে এ বিষয়টি আলোচনা হবে।
তিনি বলেন, সরকার ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে জ্ঞান ও প্রযুক্তি ভিত্তিক একটি মধ্য আয়ের দেশ করতে কাজ করছে। এ লক্ষ্যে পৌঁছতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে প্রশাসনকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী বিগত দশ বছরে সরকার গৃহীত বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের উল্লেখ করে বলেন, ‘বাংলাদেশ শিক্ষা, জিডিপি প্রবৃদ্ধি এবং মাথাপিছু আয়সহ সকল আর্থসামাজিক সূচকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।
-ডিকে/বাসস