জাতীয়ঃ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিমান পরিবহন চুক্তির উল্লেখ করে বলেছেন, তাঁর সরকার বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বিমান যোগাযোগ স্থাপনের ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিমানের নিরাপত্তা এবং সেবা বৃদ্ধিতে এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার চাহিদা অনুযায়ী যথাযথভাবে আইনগুলো প্রণয়ন করে সেই আইনও আমরা পাশ করে দিয়েছি যাতে আমাদের বিমান পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পাঠাতে পারি। আর অন্য দেশ থেকেও বিমান আসতে পারে। সেদিকেও আমরা বিশেষভাবে দৃষ্টি দিয়েছি।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকালে রাজধানীর গ্রীনরোডে নবনির্মিত ‘পানি ভবনের’ উদ্বোধনকালে একথা বলেন।
একইসঙ্গে তিনি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সম্মুখে নির্মিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘ম্যুরাল’ ও বিমানবন্দরের অভ্যন্তরস্থ ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’ এবং বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের নবনির্মিত প্রধান কার্যালয় ‘পর্যটন ভবন’ উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্প (প্রথম পর্যায়) শীর্ষক প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপনের মাধ্যমে নির্মাণ কাজেরও উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রকল্পগুলোর উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি ধন্যবাদ জানাই আমাদের এয়ারলাইন্সকে কারণ আজকে দেখলাম যে, আমেরিকারর সঙ্গে একটা চুক্তি হয়েছে, যেখানে আমাদের বিমান যেতে পারবে।
বাংলাদেশ বিমানের আধুনিকায়নে তিনি আমেরিকার বোয়িং কোম্পানীর সঙ্গে চুক্তির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর এ পর্যন্ত অত্যাধুনিক ১৩টি বিমান আমাদের বিমানবহরে যুক্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা যখন বোয়িং বিমানগুলো কিনি তখন থেকেই এটা একটা প্রচেষ্টা ছিল যাতে আমেরিকায় আমাদের বিমান নিতে পারি। কারণ, সেখানে আমাদের অনেক বাঙালি বসবাস করে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যেখানে বাঙালিরা থাকে (বসবাস করে) সেখানে ঢাকা থেকে সরাসরি যেন আমাদের বিমান পাঠাতে পারি। ঢাকা থেকে টরেন্টো, নিউইয়র্ক ও টোকিওসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যাতে আমরা যেতে পারি সেজন্য কিছু বিমানও আমরা ক্রয় করে ফেলেছি।’ ‘কাজেই সকলের সাথে একটা সমঝোতা করে এই শিল্পটাকে আমাদের আরো উন্নত করতে হবে, এবং এই যোগাযোগটাকেও বাড়াতে হবে সেজন্যই আমরা বিশেষ পদক্ষেপ নিয়েছি,যোগ করেন তিনি।
বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গত ৩০ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে একটি বিমান পরিবহন চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এখন থেকে এই চুক্তি দুটি দেশের মধ্যে বিমান চালনা পুনরায় শুরু করার প্রাথমিক ভিত্তি হিসাবে কাজ করবে। চুক্তি অনুসারে, বাংলাদেশ ও আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র উভয়ই কোড শেয়ারিংয়ের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে ফ্লাইট পরিচালনা করতে সক্ষম হবে।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিব মহিবুল হক এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার স্ব স্ব সরকারের পক্ষে ঢাকায় এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, বেসামরিক বিমান পরিবহন এবং পর্যটন মন্ত্রী মো.মাহবুব আলী, সংশ্লিষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. এহিবুল হক এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার ভার্চুয়াল এই অনুষ্ঠানে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং গ্রীন রোডস্থ নবনির্মত পানি ভবন থেকে সংযুক্ত হয়ে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তৃতা করেন।
ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান এবং পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী একেএম এনামুল করিম শামীম ও পানি ভবন থেকে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস গণভবন প্রান্ত থেকে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।
-বাসস