সরকারি চাকরিতে প্রবেশে ৩৫ বছরের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান

অনলাইনঃ
সরকারি চাকরিতে প্রবেশে বয়সসীমা বৃদ্ধির একটি বেসরকারি প্রস্তাব জাতীয় সংসদ প্রত্যাখ্যান করেছে।

স্বতন্ত্র এমপি রেজাউল করিম বৃহস্পতিবার চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ করার বেসরকারি প্রস্তাব আনলে তা কণ্ঠ ভোটে প্রত্যাখ্যাত হয়।

রেজাউল তার প্রস্তাবে বলেন: বিশ্বের ১৯২টি দেশের মধ্যে ১৫৫টি দেশে চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৫৫ বছর কোথাও কোথাও ৫৯ বছর পর্যন্ত। দেশে এখন শিক্ষিত বেকার ২৮ লাখের বেশি। শিক্ষিত বেকার পরিবারের জন্য বোঝা। শিক্ষার্থীরা সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের জন্য আন্দোলন করেছিল।

তিনি বলেন: তাদের সেসময় রাজাকার, শিবির, জঙ্গি বানানোর চেষ্টা হয়েছিল। এখন চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর জন্য আন্দোলন করছে। চাকরি না পেয়ে অনেক যুবক মাদক, ছিনতাই ও অন্যান্য সামাজিক অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে। শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ বছর করা উচিত হবে।

তার প্রস্তাবের জবাবে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন সংসদকে বলেন: বর্তমানে সরকারি চাকরিতে প্রবেশ ও অবসরের যে বয়সসীমা, সবদিক বিবেচনায় সেটাকে সরকার যৌক্তিক বলে মনে করছে। স্বাধীনতার পর প্রেক্ষাপট বিবেচনায় চাকরিতে প্রবেশে বয়সসীমা ২৫ থেকে ২৭ ও পরবর্তীতে ৩০ করা হয়। এখন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সেশনজট নেই। ২৩ বছর বয়সে শিক্ষার্থীরা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি পাচ্ছেন। ছয়-সাত বছর চাকরির প্রস্তুতির জন্য সময় পাচ্ছেন। এছাড়া চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ করা হলে পেনশন সংক্রান্ত জটিলতা তৈরি হবে।

এসব বিবেচনায় প্রতিমন্ত্রী রেজাউল করিমকে তার প্রস্তাবটি প্রত্যাহার করে নেওয়ার আহ্বান জানান। কিন্তু তিনি প্রস্তাব প্রত্যাহার না করায় স্পিকার তা ভোটে দেন। পরে কণ্ঠভোটে রোজাউল করিমের চাকরিতে প্রবেশে বয়সসীমা বৃদ্ধির প্রস্তাবটি বাতিল হয়ে যায়।

FacebookTwitter