সফলতার ৪০ বছরে ইসলামী ব্যাংক!

সফলতার ৪০ বছরে ইসলামী ব্যাংক!
সফলতার ৪০ বছরে ইসলামী ব্যাংক!

অর্থনীতিঃ

দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রথম শরী‘আহভিত্তিক ব্যাংক ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড দেশের সর্বোচ্চ আমানত ও বিনেয়োগ নিয়ে ৪০ বছরে পদার্পণ করেছে।

দেশের এক তৃতীয়াংশ বৈদেশিক রেমিট্যান্স আহরণকারী এই ব্যাংক বিগত ৩৯ বছরে দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য এবং এসএমই বিনিয়োগে সর্বোচ্চ অর্থায়ন করেছে।

সর্বাধুনিক প্রযুক্তিসমৃদ্ধ ব্যাংকিং সেবাসহ ৬ হাজারের বেশি ইউনিট নিয়ে সারাদেশে বিস্তৃত নেটওয়ার্কের মাধ্যমে জাতীয় উন্নয়নের অন্যতম সহযোগী হিসেবে কাজ করছে এ ব্যাংক।

৩০ মার্চ ২০২২, বুধবার ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে ব্যাংকের ৪০তম বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা। বিশেষ অতিথি ছিলেন অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ কায়সার আলী।

অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মোঃ ওমর ফারুক খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী, মোঃ আলতাফ হুসাইন ও মোঃ নাইয়ার আজম।

স্বাগত বক্তব্য দেন সিনিয়র এক্সিকিউটভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মোঃ মাকসুদুর রহমান।

ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন নির্বাহী, জোনপ্রধান, শাখাপ্রধান, উপশাখা ইনচার্জ, গ্রাহক ও শুভানুধ্যায়ীগণ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়্যাল প্লাটফর্মে যুক্ত হন।

মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা প্রধান অতিথির ভাষণে বলেন, ইসলামী ব্যাংক জাতীয় অর্থনীতির অন্যতম শক্তি। ১ কোটি ৬০ লাখ গ্রাহকের এই ব্যাংক প্রায় ৮৪ লাখ মানুষের প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে।

দেশের তৈরি পোশাক খাতের ৩৬ শতাংশ ও টেক্সটাইল খাতের ৬০ শতাংশ প্রতিষ্ঠান ইসলামী ব্যাংকের অর্থায়নে গড়ে উঠেছে ।

তিনি আরো বলেন, ৬ হাজারের বেশি শিল্প-কারখানা, ২ হাজারের বেশি কৃষিভিত্তিক শিল্পপ্রতিষ্ঠান , ২৬ টি পাটকল, ৪২১ টি নৌ-পরিবহন, ৫০ হাজারের বেশি যানবাহন, অর্ধশতাধিক কোল্ড স্টোরেজ, প্রায় ১ হাজার অটো রাইস মিল ইসলামী ব্যাংকের অর্থায়নে পরিচালিত হচ্ছে।

বর্তমানে ইসলামী ব্যাংকের মোট আমানতের পরিমাণ ১ লক্ষ ৪০ হাজার কোটি টাকা যা দেশের ব্যাংকিং সেক্টরে সর্বোচ্চ।

জাতীয় অর্থনীতির প্রধান দুই স্তম্ভ প্রবাসী রেমিট্যান্স ও তৈরী পোশাক শিল্প উন্নয়নে ইসলামী ব্যাংক পথিকৃৎ।

বর্তমানে ইসলামী ব্যাংকের বিনিয়োগের পরিমাণ ১ লক্ষ ১৬ হাজার কোটি টাকা যা ব্যাংকিং সেক্টরের সর্বোচ্চ।

তিনি বলেন, এই ব্যাংক শ্রেণি-পেশা, ধর্ম-বর্ণ নির্বেশেষে সব মানুষের আস্থা ও বিশ্বাসের অনন্য প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। দেশের আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্যে ইসলামী ব্যাংকের মার্কেট শেয়ার যথাক্রমে ১১.৪% ও ৮%।

বিশ্বে ইসলামিক মাইক্রোফাইন্যান্সের পথিকৃৎ ইসলামী ব্যাংকের পল্লী উন্নয়ন প্রকল্প দেশের ১৩ লক্ষ প্রান্তিক পরিবারকে স্বাবলম্বী করেছে।

এই প্রকল্প দেশের ২৬ হাজার গ্রামে বিস্তৃৃত যার মাধ্যমে ৩ হাজার ২০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ বিতরণ করা হয়েছে।

ব্যাংকিং খাতে দেশের শীর্ষ করদাতা এই প্রতিষ্ঠান ২০১২ সাল থেকে বিশ্বের শীর্ষ এক হাজার ব্যাংকের তালিকায় বাংলাদেশের একমাত্র ব্যাংক হিসেবে অবস্থান ধরে রেখেছে।

দি জেনারেল কাউন্সিল ফর ইসলামিক ব্যাংক অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশন্স (সিবাফি) এই ব্যাংককে ওয়ার্ল্ডস বেস্ট ইসলামিক ব্যাংক পুরস্কারে ভুষিত করেছে।

তিনি বলেন ‘ফিনটেক’ ব্যবহার করে আর্থিক সুবিধার বাইরে থাকা জনগোষ্ঠীকে আর্থিক সেবার আওতায় আনার জন্য কাজ করছে এই ব্যাংক।

ইসলামী ব্যাংকের আধুনিক প্রযুক্তিসমৃদ্ধ সেবা, সেলফিন অ্যাপ ও ইন্টারনেট ব্যাংকিংসহ সকল আর্থিক সেবা গ্রহণ করতে সকলকে আহবান জানান তিনি।

-শিশির

FacebookTwitter