নিজস্ব প্রতিবেদক:
গত ১০ দিনের চেয়ে বৃহস্পতিবার শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে ঢাকামুখী মানুষের জনস্রোত দেখা গেছে। দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলা থেকে কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে থেমে নেই ঢাকামুখী বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের ঢল।
গত কয়েক দিন হাজার হাজার শ্রমজীবী মানুষ পরিবার-পরিজন নিয়ে কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে ছুঁটলেও এখন অন্যান্য পেশাজীবী মানুষও ঢাকামুখী রওনা হওয়ায় শিমুলিয়া ঘাট এলাকায় দেখা গেছে উপচেপড়া ভিড়। তিল ধারণের ঠাঁই নেই ফেরি ঘাট আর রিকশা অটোস্ট্যান্ডসহ পুরো শিমুলিয়া ঘাট এলাকায়।
বৃহস্পতিবার শিমুলিয়া ঘাটে সরেজমিনে দেখা যায়, নৌরুট পাড়ি দিয়ে শিমুলিয়া ঘাট থেকে ছোট ছোট যানবাহনে শ্রমজীবী মানুষ পরিবার-পরিজন নিয়ে ছুঁটে যাচ্ছে নিজ নিজ গন্তব্যে। অনেকে বাধ্য হয়ে পায়ে হেঁটেই দীর্ঘ পথ পাড়ি দিচ্ছে। কাঠাঁলবাড়ী ঘাট থেকে ফেরি ও ট্রলারে পদ্মা পাড়ি দিয়ে মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের শিমুলিয়া ঘাটে নামছেন তারা। ফলে শিমুলিয়া ঘাট এলাকায় এসেও বিভিন্ন যানবাহনের স্ট্যান্ডগুলোতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে যাত্রীরা। ফেরিতে যেমন চাপাচাপি করে পদ্মা পাড়ি দিয়েছে তেমনি সামাজিক দূরত্ব তোয়াক্কা না করেই যানবাহনে উঠার প্রতিযোগিতা বিস্মিত হওয়ার মতো।
যাত্রীর চাপ সকালে বেশি থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চাপ কমতে থাকে বলে জানিয়ে মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের টিআই মো. হেলালউদ্দিন। তিনি বলেন, গত কয়েক দিনের তুলনায় বৃহস্পতিবার ছিল ঢাকামুখী যাত্রীদের জনস্রোত। কার আগে কে ঢাকায় যাবে এ প্রতিযোগিতা লক্ষ্য করা গেছে।
মাওয়া নৌ-ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. সিরাজুল কবির জানান, বৃহস্পতিবারের বিভিন্ন পেশার মানুষের জনস্রোত গার্মেন্ট শ্রমিকদের ঢলকেও হার মানিয়েছে। করোনার কোনো ভয় দেখা যায়নি, ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতেই তারা ছুঁটছে ঢাকা ও আশপাশের এলাকায়।
বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক প্রফুল্ল চন্দ্র ও এজিএম মো. শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, দিনের বেলায় ৪ থেকে ৫টি ফেরি এবং রাতে ৭ থেকে ৮টি ফেরি নৌরুটে চলাচল করছে। গত এক সপ্তাহের তুলনায় বৃহস্পতিবার যাত্রী চাপ ছিল অনেক বেশি। ঈদ ঘনিয়ে আসছে, তেমনি যাত্রী চাপও বাড়ছে নৌরুটে।
-এফকে