পুলিশের গুলিতে নিহত মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের সহকর্মী শিপ্রা দেবনাথের ব্যক্তিগত ছবি ‘উস্কানিমূলক’ বক্তব্য দিয়ে পোস্ট করা দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করেছেন হাইকোর্ট। আজ ২০ আগস্ট, বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেশ আদালত।
এর আগে গত ১৬ আগস্ট, রবিবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনোজ কুমার ভৌমিক রিটটি দায়ের করেন। গত ১৬ আগস্ট দেশের একটি জাতীয় দৈনিকে ‘Cyberbullying now adds to her trauma’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি সংযুক্ত করে তিনি এই রিট করেন।
রিটে সাতক্ষীরার এসপি এবং পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ সুপারের ফেসবুক পোস্টের ব্যাপারে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আদেশ দেওয়ার আর্জি জানানো হয়।
উল্লেখ্য, গত ১৪ আগস্ট সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান শিপ্রার ব্যক্তিগত কিছু মুহূর্তের ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেন। এসময় তিনি শিপ্রার নির্দোষ হওয়ার ব্যাপারে সন্দেহ প্রকাশ করে এরকম আরো ছবি প্রকাশের ইঙ্গিত দেন। একই রকম পোস্ট করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের এসপি মিজানুর রহমান শেলি।
এ বিষয়ে ব্যক্তিগত ছবি ফেসবুকে পোস্টকারী পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করার ঘোষণা দেন শিপ্রা দেবনাথ। তবে গত ১৮ আগস্ট, মঙ্গলবার রাতে তিনি কক্সবাজার থানায় এ বিষয়ে মামলা করতে গেলে তা গ্রহণ করা হয়নি।
গত ৩১ জুলাই কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভ সড়কে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান। তিনি সহকর্মীদের নিয়ে ইউটিউব চ্যানেলের জন্য ভিডিওচিত্র ধারণ করতে সেখানে গিয়েছিলেন। তার সাথে ছিলেন সহকর্মী সাহেদুল আলম সিফাত। অপর এক সহকর্মীর সাথে তখন হোটেলে ছিলেন শিপ্রা দেবনাথ।
এই ঘটনার পর হোটেল থেকে শিপ্রাকে আটক করে মাদক মামলায় গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। পরে তিনি ও সিফাত জামিনে মুক্তি লাভ করেন।
হোটেল থেকে তাদের ব্যবহৃত কম্পিউটার-ল্যাপটপ ও হার্ডডিস্ক নিয়ে গেলেও মামলার জব্দ তালিকায় এসব উল্লেখ করেনি পুলিশ। কিন্তু এর পরপরই শিপ্রার কিছু ব্যক্তিগত ছবি-ভিডিও ফেসবুকসহ নানা মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে নানা প্রশ্ন তোলা হচ্ছিল।
-কেএম