“শিক্ষা,সহিষ্ণুতা আর সহমর্মিতার চর্চায় হয়ে উঠি দায়িত্বশীল নাগরিক”

চর্চায় হয়ে উঠি দায়িত্বশীল নাগরিক
চর্চায় হয়ে উঠি দায়িত্বশীল নাগরিক

শিক্ষাঃ

ওয়াইপিএফ-ইউএনডিপি বাংলাদেশ আয়োজিত ধারাবাহিক আলোচনার দ্বিতীয় পর্বের বক্তাদের মন্তব্য
বর্তমান বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি সহিষ্ণুতা আর সহমর্মিতার মত প্রায়োগিক দক্ষতা বা সফট স্কিলস বিকাশে প্রয়োজন তৃণমূল পর্যায় থেকে কাজ করা।

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হওয়া ইয়ুথ পলিসি ফোরাম (ওয়াইপিএফ) এবং ইউএনডিপি-বাংলাদেশ (ইউনাইটেড নেশন্স ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম ইন বাংলাদেশ) এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত চার পর্বের আলোচনা সিরিজের দ্বিতীয় পর্ব “শিক্ষা,সহিষ্ণুতা আর সহমর্মিতার চর্চায় হয়ে উঠি দায়িত্বশীল নাগরিক” শীর্ষক ওয়েবিনারে বক্তারা এ কথা বলেন।

এ পর্বে অতিথি আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, এমপি; বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. রাশেদা কে চৌধুরী; জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচী বাংলাদেশ-এর সহকারী আবাসিক প্রতিনিধি আশেকুর রহমান; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক কাজী মারুফুল ইসলাম।

বাংলাদেশ সরকারের নতুন প্রণীত পাঠ্যক্রম বিষয়ক এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষা উপমন্ত্রী জানান নতুন এই পাঠ্যক্রম কেবল বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষা নয় বরং বিজ্ঞানভিত্তিক চিন্তাধারার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের বিশ্লেষণী দক্ষতা, মানবিক মূল্যবোধ বিকাশে ভূমিকা রাখবে।

তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশের বিশাল একটা জনগোষ্ঠীকে ধর্মতাত্ত্বিক শিক্ষাব্যবস্থা থেকে মূলধারায় আনার মতো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ওয়াইপিএফ এর মতো বিভিন্ন নীতিনির্ধারনী সংগঠন ও রাজনীতিবিদদের একত্রে কাজ করে যেতে হবে।

আলোচনায় অংশ নেওয়া আরেক বক্তা বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড.রাশেদা কে চৌধুরী নৈতিকতার পাশাপাশি পারিবারিক, নাগরিক ও রাজনৈতিক মূল্যবোধের উপর গুরুত্বারোপ করেন।

জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচী বাংলাদেশ-এর সহকারী আবাসিক প্রতিনিধি আশেকুর রহমান বাংলাদেশে ইউএনডিপি-এর ভূমিকা নিয়ে বলেন স্বাধীনতার পর থেকেই ইউএনডিপি বাংলাদেশের সরকার এবং বেসরকারি সংস্থার সাথে কাজ করে আসছে কিন্তু এর পাশাপাশি আমাদের নাগরিক আচরণের প্রসার ঘটেনি এবং অনেক ক্ষেত্রেই দেখা দিচ্ছে গ্রাম ও শহরের বৈষম্য।

যেহেতু এসডিজি (টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা) তে এই প্রথমবার বস্তুগত উন্নতির পাশাপাশি আমদের নাগরিক দায়িত্বের ব্যাপারটিও উন্নয়নের মাপকাঠি হিসেবে বিবেচনায় চলে এসেছে তাই সময় এসছে এদিকে বিশেষ জোর দেওয়া।

আলোচনার শেষ পর্যায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষক কাজী মারুফুল ইসলাম স্থানীয় পর্যায়ে নীতি প্রণয়নে যথাযথ প্রতিষ্ঠান, আচরণ ও সম্পদের সমন্বয়ের সুপারিশ করেন।

এছাড়াও তিনি মনে করেন, একজন নাগরিকের মননে সহিষ্ণুতা ও সহমর্মিতার প্রতিফলন তখনই সম্ভব যখন স্থানীয় প্রশাসনের সাথে তরুণ প্রজন্মের সহযগিতাপূর্ণ সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হবে।

ওয়েবিনারের সঞ্চালনায় ছিলেন ইয়ুথ পলিসি ফোরামের কনটেন্ট ও সম্পাদকীয় শাখার প্রধান মাসতুরা তাসনিম।

FacebookTwitter