নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রয়োজনে শিক্ষার্থী ভর্তি, বিজ্ঞানাগার, পাঠাগার ও যন্ত্রপাতি রক্ষণাবেক্ষণ, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ইত্যাদি প্রশাসনিক ও রক্ষণাবেক্ষণে সীমিত আকারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কার্যালয় খোলা রাখা যাবে।
তবে অসুস্থ শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, সন্তানসম্ভবা নারী এবং ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উপস্থিত হওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সব সময় মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জারি করা সব স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে অনুসরণ করতে হবে।
সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এসব তথ্য জানিয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নতুন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে এবং পরিস্থিতি উন্নয়নের লক্ষ্যে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। তবে সীমিত আকারে সরকারি দপ্তরগুলো খোলা রয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অফিস শুধু প্রশাসনিক রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজনে সীমিত আকারে খোলা রাখা যাবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, মঙ্গলবার থেকেই এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হবে। তবে এটি সবার জন্য বাধ্যতামূলক নয়। কেবল যাদের ওই ধরনের প্রয়োজন হবে, কেবল সেসব প্রতিষ্ঠানের কার্যালয় সীমিত আকারে খোলা যাবে।
করোনাইভাইরাসের কারণে গত ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। আবার কবে ক্লাস শুরু হবে, সেটি এখনো অনিশ্চিত। সরকারের পক্ষ থেকে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা চালু হবে না।
-এফকে