নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
হত্যার উদ্দেশ্যে দৈনিক কালের কণ্ঠ রাজশাহী ব্যুরো প্রধান রফিকুল ইসলামের উপরে হামলা চালিয়েছে থিম ওমর প্লাজার নিরাপত্তা কর্মীরা।
আজ সোমবার সকাল ১০ টার দিকে রাজশাহী নগরীর নিউ মার্কেট সংলগ্ন থিম ওমর প্লাজার সামনে এই ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে রাজশাহীর সাংবাদিক নেতারা বলেন, গত সপ্তাহে থিম ওমর প্লাজায় মালিক ওমর ফারুক চৌধুরী এমপি বেশ কয়েকজন সাংবাদিকের সামনে সাংবাদিক রফিকুল ইসলামকে হত্যা করে গুম করে দেওয়ার হুমকি দেয়।
এই হামলার ঘটনায় সাংবাদিক নেতারা মনে করছেন, এমপি ফারুক চৌধুরীর হুকুমেই এই হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে তার কর্মচারীরা।
এই হামলার ঘটনার পরে রাজশাহীতে কর্মরত সাংবাদিকরা পাঁচজন হামলাকারীকে থিম ওমর প্লাজার ভেতরে আটকে রাখে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে হামলাকারীদের আটক করে শিরোইল পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যায়। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বর্তমানে পুলিশ ফাঁড়ির সামনে অবস্থান করছেন সাংবাদিকরা।
হামলাকারীরা হলেন, নগরীর ষষ্ঠীতলা এলাকার সেকেন্দার আলীর ছেলে সাহেদ আলী (২৮), কাটাখালীর মাসকাটাদিঘী এলাকার আলতাফ হোসেনের ছেলে মুন্না (২৭), তেরখাদিয়া এলাকার (ভাড়াটিয়া) মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে আবদুল হাকিম (৪৮), পবার মথুরা এলাকার মতিউর রহমানের ছেলে নাহিদ (২০), বহরমপুর এলাকার গনেষের ছেলে শ্রী সানি (২২) ও আব্দুল হাকিম (৪৮)।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে শিরোইল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মাহফুজুর রহমান জানান, সকালে মাছ কেনার জন্য থিম ওমর প্লাজার মূল গেট থেকে একটু দূরে মোটরসাইকেল রাখেন সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম। এসময় একজন সিকিউরিটি গার্ড এসে সাংবাদিক রফিকুল ইসলামের মোটরসাইকেলের উপরে রাখা হেলমেটটি নিয়ে যায়।
এসময় রফিকুলকে বলেন, ‘এখানে আয়। নিয়ে যা তোর হেলমেট।’ এক পর্যায়ে এক সিকিউরিটি গার্ড মুন্না এগিয়ে আসে রফিকুলের দিকে। এসময় সিকিউরিটি গার্ড বলে,‘ এখানে গাড়ি রাখা যাবে না।’ রফিকুল বলে, ‘মাছ কেনা হলেই আমি চলে যাবে।’ সিকিউরিটি গার্ড বলে,‘ এটা তোর বাবার জায়গা ? যে এখানে গাড়ি রেখেছিস বলেই এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে তারা। এসময় কয়েকজন মাছ ব্যবসায়ী ও পথচারীরা এসে রফিকুলকে উদ্ধার করেন। আবার সিকিউরিটি গার্ড সানি, হাকিম ও নাহিদ এসে লাঠি দিয়ে মারধর শুরু করে।
এই হামলার ঘটনায় সাংবাদিক নেতারা মনে করছেন, এমপি ফারুক চৌধুরী এই হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। তা না হলে একটি মোটরসাইকেল রাখাকে নিয়ে এই ধরনের হামলার ঘটনা ঘটার কথা না। এই হামলায় পুরোপুরি ফারুক চৌধুরী হুকুম রয়েছে। তিনি হুকুম দিয়ে থিম ওমর প্লাজার কয়েকজন কর্মচারীদের দিয়ে হামলা চালিয়েছেন।
স্থানীয়রা জানায়, থিম ওমর প্লাজার ফুটপাত দখল করে তৈরি করা হয়েছে মার্কেটটি। ফুটপাত বা রাস্তার পাশে কেউ গাড়ি রাখলে থিম ওমর প্লাজার সিকিউরিটি গার্ডরা দ্বারাতে দেয় না। প্রায় সময় গার্ডরা রিক্সা চালকদের মারধর করে। কেউ কিছু বললে, সিকিউরিটি গার্ডরা বলে, ‘থিম ওমর প্লাজা এমপির। এই রাস্তা ও ফুটপাত এমপির কেনা। কেউ কিছু বলতে পারবে না।’
এবিষয়ে রাজশাহী সংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কাজী শাহেদ বলেন, কালের কণ্ঠের সাংবাদিক রফিকুল ইসলামের উপরে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয়েছে। এই ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে হামলাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। রাজশাহী সাংবাদিক সমাজের পক্ষ থেকে এই হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
-জিসান