মিলি সুলতানা, কুইন্স, নিউইয়র্ক থেকেঃ
“You have talents, young girl. I have decided to CAST you in my film !”
“Thank you Sir……is the script ready?”
“Nope, but the COUCH is ready……and you?”
এটা হল হলিউড বলিউডের নায়িকা কাস্টিং পদ্ধতি। কাউচকে বাংলায় বললে হয় “সোফা।” তবে কাস্টিং কাউচ সিস্টেমকে টালিউড এমনকি আমাদের ঢালিউডেও সিস্টেমের মধ্যে নিয়ে আসা হয়েছে। “কাস্টিং কাউচ” প্রসেসে দিয়েছেন আজকের অনেক রেখা,মাধুরী দীক্ষিত, মীনাক্ষী শেষাদ্রী, জয়াপ্রদা, শ্রীদেবী, টিনা মুনিম,পুনম ধীলন,পদ্মিনী কোলাপুরীর মত নায়িকারা।
ভারতে কাস্টিং কাউচের বেশি ফায়দা তুলেছেন প্রখ্যাত প্রযোজক পরিচালক স্ক্রিপ্ট রাইটার সুভাষ ঘাই। সুভাষ ঘাইয়ের থিওরি ছিল, ” তুমি খুব সুন্দরী। হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে তুমি ভালো একটা ক্যারিয়ার গড়ে নিতে পারবে। তোমার সব যোগ্যতা আছে। কিন্তু তার জন্য তোমাকে স্মার্ট হতে হবে। সেক্সুয়াল ফেভার করতে হবে। এখানে ভণিতার কিচ্ছু নেই। সেক্সুয়াল ফেভার ছাড়া কিছুই সম্ভব হবেনা।
সুভাষ ঘাইয়ের “নাঙ্গা চেহারা” জনসম্মুখে চলে এসেছে। তাঁর বিরুদ্ধে অনেক ভিকটিম মিডিয়ায় মুখ খুলেছেন। সুভাষ ঘাই তাঁর ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিকে বলেছেন, তাঁর কাস্টিং কাউচের কুইন মাধুরী দীক্ষিতকে তিনি আজো ভালোবাসেন। এবং সবার চেয়ে বেশি ভালোবাসেন।” এখানে উল্লেখ্য, মাধুরীর তারকা খ্যাতির নেপথ্যে আছে সুভাষ ঘাই’র বিশাল পৃষ্টপোষকতা।
আশির দশকে এসব নিয়ে কেউ মুখ খোলেনি। মান সম্মানের ভয়ে ভীত ছিল তারা। কিন্তু মিলিনিয়াম যুগে এসে স্ট্রেইট কাট কথা বলতে শুরু করেছে অনেকেই। নতুন মডেল নায়িকারা নির্বিঘ্নে মুখ খুলেছে সুভাষের কাস্টিং কাউচের বিরুদ্ধে। এখন সুভাষের অনুসারী প্রচুর। তারা ধরে রেখেছেন কাস্টিং কাউচের ঐতিহ্য।
এখন সময় বদলেছে। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি ছাড়িয়ে “কাস্টিং কাউচ” ঐতিহ্য আমাদের দেশের সরকারি এবং প্রাইভেট সেক্টরে ঢুকে পড়েছে। অনেক শিক্ষিত মেয়েকে কর্পোরেট সেক্টরে উচ্চ পদের জন্য ব্রাইট ক্যারিয়ারের জন্য ভুঁড়িওয়ালা বসের সাথে মিনি হানিমুন ট্যুরে যেতে হয়। অনেকের অফিসের অন্দরমহলে ধুমায়ে চলছে বস এবং এমপ্লয়ি অভিনীত “গিভ অ্যান্ড টেক” নামের নীলছবি।
আজকালকার উগ্র আধুনিক মেয়েরা বেশ বুদ্ধি নিয়ে চলে। তাদের ক্রীড়ানৈপূণ্য দেখে দুর্নীতিবাজ, দেহখাদক, লুচ্চা, চুতিয়া বসরা তাদেরকে প্রমোশন দিচ্ছে।
গায়িকা মাধুরী দীক্ষিত
শুনলে আজগুবি মনে হতে পারে, কিন্তু একটা কড়কড়ে তাজা সত্যি হচ্ছে — এসব মেয়েদের মা বাবারা নিজ দায়িত্বে মেয়েদেরকে সোফা অথবা বেডের কন্ট্রোলার বানাচ্ছেন। বয়সের ব্যাপার? তাতে ক্ষতি কি? চব্বিশ পঁচিশ বছর বয়সী মেয়ে যদি ষাটোর্ধ ব্যক্তির সাথে রামলীলা করে, করুক না!! ব্রাইট ক্যারিয়ার চাইলে বয়স স্যাক্রিফাইস করতে হবে। দীর্ঘদিন ধরে লুকায়িত রক্ষিতা (Hidden Mistress) হয়ে থাকে। মেয়ের রূপ যৌবনের সওদা করে তারা So called এলিট সোসাইটিতে সমাদর পাচ্ছে। আমাদের সমাজে বহু ছুপা রুস্তম “বিগ বস” আছেন। যাদেরকে খালি চোখে দেখা যায়না। যারা উচ্চপদে বসে সেক্স বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।
-শিশির