মিল্কভিটার চার হাজার একর জমিই বেহাতঃ আ স ম ফিরোজ

অনলাইনঃ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গো-চারণের জন্য বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়ন লিমিটেড (মিল্ক ভিটা)’কে বরাদ্দ দেয়া পাঁচ হাজার একর ভূমির চার হাজার একরই বেহাত হয়েছে।

এতো দিনেও জমি উদ্ধারে সরকারি সমবায় ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটির কোনো তৎপরতা না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করে সরকারি প্রতিষ্ঠানের সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।

মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ ভবনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও বৈঠকে মিল্কভিটার চেয়ারম্যান শেখ নাদির হোসেন লিপু উপস্থিত না থাকায় অসন্তোষ প্রকাশ করে কমিটি।

বৈঠকের পর কমিটির সভাপতি আ স ম ফিরোজ গণমাধ্যমের কাছে বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মিল্ক ভিটাকে পাঁচ হাজার একর জমি বরাদ্দ দেন। বেহাত হতে হতে এখন মিল্ক ভিটার হাতে আছে এক হাজার একরের মত জমি।’

ফিরোজ আরো বলেন, ‘মিল্ক ভিটার কিছু কর্মকর্তার যোগসাজশে বিভিন্ন সময়ে অসাধু লোকজন জমি বরাদ্দ দিয়ে দখল করেছে। অনেক ক্ষেত্রে ভুয়া কাগজ দেখিয়ে জমি দখল করেছে। এই জমি উদ্ধারে মিল্ক ভিটা কখনো আইনি লড়াইয়ে যায়নি। কমিটি এই জমি উদ্ধারে মিল্কভিটাকে ব্যবস্থা নিতে বলেছে।’

বঙ্গবন্ধু ওই জমি পাবনা ও সিরাজগঞ্জে বরাদ্দ দিয়েছিলেন বলে জানান মিল্ক ভিটার এক কর্মকর্তা।

সম্প্রতি সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়িঘাট দুগ্ধ সমিতির ব্যবস্থাপক অমিয় কুমার মণ্ডল জানান, বর্তমানে এই দুই জেলার প্রায় সাড়ে ৫০০ সমিতির ২৫ হাজার খামারি মিল্ক ভিটায় দুধ সরবরাহ করেন।

এছাড়াও বৈঠকে বিভিন্ন কোম্পানির পাস্তুরিত দুধে সীসার উপস্থিতি পাওয়ার বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয়। ওই বৈঠকে মিল্ক ভিটা জানায়, তাদের পাস্তুরিত দুধে সহনীয় মাত্রার চেয়ে কম সীসা রয়েছে। এসময় মিল্ক ভিটা কয়েকটি দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানের এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন তুলে ধরে।

এ সময় আ স ম ফিরোজ বলেন, ‘মিল্ক ভিটার দুধে যেটুকু সীসা পাওয়া গেছে তা পানি থেকে গবাদি পশুর শরীরে গেছে। আমরা এ বিষয়ে মিল্কভিটা কর্তৃপক্ষকে সতর্ক থাকার সুপারিশ করেছি।’

এ দিকে সংসদ সচিবালয় থেকে জানানো হয়, বৈঠকে সঠিক মান বজায় রেখে সীসা, ব্যাকটেরিয়া ও অ্যান্টিবায়োটিকের মত ক্ষতিকারক উপাদানমুক্ত পণ্য উৎপাদনের সুপারিশ করা হয়।

বৈঠকে আ স ম ফিরোজের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন- কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান, ওমর ফারুক চৌধুরী, ইসমাত আরা সাদেক, নারায়ন চন্দ্র চন্দ, মাহবুব উল আলম হানিফ, মির্জা আজম, মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম এবং জিল্লুল হাকিম।

-কেএম

FacebookTwitter